পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

জ্ঞান

 জ্ঞান আত্মার আলোক। যেমন সূর্য্যোদয়ে অন্ধকার বিনষ্ট হয়, আনন্দময়ী ভুবনমোহিনী উষার কণক-কিরণে জগৎ রঞ্জিত হইয়া ওঠে, তেমনই আত্মাতে জ্ঞানের উজ্জ্বল নির্ম্মল কিরণ উদ্ভাসিত হইলে মোহতমঃ দূরীভূত হয়। দেবমন্দীরের প্রভাত মঙ্গল শঙ্খধ্বনির ন্যায় জ্ঞান ধীরে— ধীরে, অতি ধীরে হৃদয়দ্বারে প্রবেশ করিয়া মানবাত্মাকে সচেতন করিয়া তোলে। সে মঙ্গলময় চৈতন্যময় আহ্বানধ্বনিতে মর্ম্মতন্ত্রীর প্রতি তার কি এক অজ্ঞাতসুরে বাজিতে থাকে,—প্রতি শিরা ধমনীর প্রতি রক্তবিন্দু সজাগ হইয়া ওঠে। জ্ঞান কলুষ-সমুদ্র উত্তীর্ণ হওয়ার তরণীস্বরূপ। একথা পৃথিবীর সমস্ত সাধক ভক্ত একবাক্যে স্বীকার করিয়াছেন। গীতা বলিয়াছেন,―

 “যদি সমুদায় পাপী হইতেও তুমি অধিক পাপকারী হও, তথাপি সমুদায় পাপ-সমুদ্র জ্ঞানালোক দ্বারাই সম্যকরূপে উত্তীর্ণ হইবে।”

 জ্ঞান, ভক্তি কর্ম্ম, আত্মার তিনটি অবস্থামাত্র। যোগী সাধকদিগের জীবনে ইহাদের আশ্চর্য্য সংমিশ্রণ