পাতা:সাহিত্য-চিন্তা - কুমুদিনী বসু.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জ্ঞান
১১৫

সাধন ভজন, যোগ তপস্যা সমস্তই মিথ্যা। আত্মার জাগরণ চাই। চিৎস্বরূপেই উদ্বোধন চাই। নতুবা পূজা করিবে কে? এই জন্যই মহাজনেরা বলিয়া গিয়াছেন যে, ধর্ম্মের ভিত্তি জ্ঞান।

 মানবাত্মাতে জ্ঞানের বিকাশের জন্য সাধনার প্রয়োজন। যে অবস্থার ভিতর দিয়া অর্থাৎ যে প্রকার সাধন মার্গের সোপান অবলম্বন করিয়া শুদ্ধ সত্ত্ব নির্ম্মল জ্ঞানের পূর্ণ বিকশিত অবস্থা প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহার নাম জ্ঞানযোগ। ইহা জীবাত্মার সর্ব্বপ্রথম সাধন পথ। ইহার উপর ভক্তিযোগ এবং কর্ম্মযোগ স্থাপিত।

 জ্ঞানযোগ যে একটি সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত তাহার নাম “স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান”। স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞান কি? যাহা স্বয়ং প্রাণে প্রতিভাত হয়। যে জ্ঞান বীজরূপে মানব প্রাণে নিহিত রহিয়াছে। যে প্রত্যয় কোন গ্রন্থবা গুরুর অপেক্ষা রাখে না। এই স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানই মানবের সমস্ত তপস্যার মূল। যিনি আমাদের জন্মের পূর্ব্বে জননীর বক্ষে ক্ষীর প্রদান করিয়াছেন, ক্ষেত্রে শস্য এবং বৃক্ষে ফল সৃষ্টি করিয়াছেন, তিনিই তাঁহাকে লাভ করিবার জন্য মানবের অন্তরে স্বতঃসিদ্ধ জ্ঞানকে বীজ রূপে স্থাপন করিয়াছেন। ইহাই জীবের প্রতি ভগবানের