বহরমপুরে। ১৮৬৬ সালের গ্রীষ্মাবকাশে বহরমপুর কলেজে নিযুক্ত হইবার পূর্বে, বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় প্রথমে পাটনা কলেজে দুই শত টাকা বেতনের অধ্যাপকতা ও পরে গৌহাটী হাই স্কুলে তিন শত টাকা বেতনের হেডমাষ্টারের জন্য দরখাস্ত করিতে ইচ্ছা করেন, কিন্তু মাতৃদেবীর নিষেধে তাহার অভিলাষ কার্য্যে পরিণত হয় নাই। অধ্যাপক রমানাথ নন্দীর দেহত্যাগে, বহরমপুর কলেজে তিন শত টাকা বেতনের পদ শূন্য হইলে, সার গুরুদাস নির্বন্ধসহকারে জননীর অনুমতি প্রার্থ হইলেন। কিন্তু তিনি সার গুরুদাসকে বলিলেন—তুমি হঁসিতে হাঁসিতে বহরমপুরে কাজ করতে যাবে, আর রমানাথ বাবুর আত্মীয় স্বজন সেখান থেকে কঁদিতে কঁদিতে চলে আসবেন, এটা কি ভাল? অগত্যা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় তাহার মাতুলকে মাতৃদেবীর নিকট সুপারিস করিবার জন্য ধরিলেন। তিনি আসিয়া তঁহার ভগ্নীকে বুঝাইলেন যে রমানাথ বাবুর মৃত্যুতে যে পদ শূন্য হইয়াছে, তাহা ত” চিরকালের জন্য খালি থাকিবে না, সুতরাং তৎপ্রার্থী হইলে র্তাহার আত্মীয়দের প্রতি কণামাত্রও অবিচার করা হইবে কিরূপে? তিনি আরও বলিলেন যে গৃহদেবতাকে বহরমপুরে লইয়া যাইলে তাহার সেবার ক্রেটী হইবে না। অনেক তর্কাতর্কির পর সার গুরুদাস মাতৃদেবীর নিকট কলিকাতা ত্যাগের অনুমতি পাইয়াছিলেন। সেই সময়ে শোভাবাজার রাজবংশের রাজা প্রসন্ননারায়ণ দেব, মুর্সিদাবাদের নবাব নাজিমের দেওয়ান ছিলেন। দেওয়ানের প্রতিপত্তি