পাতা:কুমার সম্ভব (কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৬৪
কুমারসম্ভব।

পিঙ্গল বর্ণ জটাগুলি শিথিলভাবে লম্বমান রহিয়াছে, এরূপ অবস্থা ঘটিলেও সে কি রূপে নিশ্চিন্ত আছে?॥ ৪৭॥

 তপস্যা করিয়া যার পর নাই কৃশ হইয়াছ, যেখানে পূর্ব্বে অলঙ্কার পরিতে, সে সকল স্থান রৌদ্রে দগ্ধ হইয়াছে, দিবা ভাগের চন্দ্র কলার ন্যায় তোমার শরীর বিবর্ণ হইয়াছে, ইহা দেখিয়া কোন্‌ সহৃদয় ব্যক্তির মনে দুঃখ না হয়?॥ ৪৮॥

 তোমার এই যে কুটিল লোম-রাজি-বিভূষিত ও রমণীয়দৃষ্টিপাতকারী চক্ষু, ইহার সম্মুখে আপনার মুখ আনিয়া ধরিয়া দিতেছে না, অতএব বুঝিলাম যে তোমার প্রিয়পাত্র ‘আমি বড় রূপবান্‌’ এই অহঙ্কারেই প্রতারিত হইতেছেন॥ ৪৯॥

 হে পার্ব্বতি। আর কত কাল তপস্যার ক্লেশ ভোগ করিবে? এই ব্রহ্মচর্য্য আশ্রমে আমিও কিঞ্চিৎ তপস্যার সঞ্চয় করিয়াছি। না হয়, তাহার কিয়দংশ লইয়া আপন অভীষ্ট সিদ্ধ কর—কেবল তোমার প্রিয়পাত্র কে এইটী আমি জানিতে ইচ্ছা করি॥ ৫০॥

 ব্রহ্মচারী এই রূপে মনের কথা আকর্ষণ পূর্ব্বক পূর্বোক্ত কথাগুলি রলিলে পর পার্ব্বতী লজ্জা বশতঃ আপন প্রিয়পাত্রের নামোল্লেখ করিতে পারিলেন না। পরে কজ্জ্বলবিরহিত নয়ন নিত্য-সহচরী সখীর প্রতি নিক্ষেপ করিয়া তাঁহাকে কহিতে ইঙ্গিত করিলেন॥ ৫১॥

 পার্ব্বতীর সখী ব্রহ্মচারীকে কহিলেন, হে সাধো! আপনার জানিতে ইচ্ছা হইয়াছে, অতএব শুনুন যে কাহার