পাতা:ক্লিওপেট্রা (নবীনচন্দ্র সেন).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
(২৩)

সজ্জিত এ বপুঃ মম; কিন্তু সহচরি!
সেই শোভা—এই শোভা—কতই অন্তর!
আজি সেই বেশ, স্বর্ণ হীরক খচিত,
নিবিড় তমিস্ৰ যেন সমাধি বেষ্টিয়া!
সে দিন প্রেমের শুক্ল-দ্বিতীয়া আমার,
আজি হায়! নিরাশার কৃষ্ণা চতুর্দ্দশী!”
 নীরবিল ধীরে বামা; মধুর বাঁশরী
গাইয়া বিষাদ-তান, নীরবে যেমতি।
স্থির নেত্রে কিছুক্ষণ চাহি শূন্য-পানে,
বলিতে লাগিল পুনঃ ইন্দীবরাননা;—
“চলিল তরণী বেগে, চলিলাম আমি
ভেটিতে এণ্টনি; সখি! করিতে অর্পণ
বালিকার চিত্ত-চোরে, যুবতী-যৌবন।
যত অগ্রসর তরী হ’তেছিল বেগে,
ততই হইতেছিল মানস আমার
সঙ্কুচিত,—নির্ঝরিণী-মুখে যথা নদ
‘চিদনস’। হায়! সখি, ভাবিতেছিলাম
কি আছে অদৃষ্টে মম,—প্রেম-সিংহাসন,
কিম্বা রোম-কারাগার! দেখিতে দেখিতে
সঙ্কুচিত আশা-স্রোত প্রণয়-নির্ঝরে