পাতা:বিজ্ঞান দর্পণ (প্রথম খণ্ড, ১২৮৯).pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আশ্বিন ১২৮৯।]
রহস্য।
১৮৩

জানিয়া শুনিয়া, কন্যাকে চিরদিনের জন্য অপার দুঃখার্ণবে নিমজ্জন করিতেছে, এ পাপের কি প্রায়শ্চিত্ত আছে?

 সকল সুসভ্য জাতিকেই সামাজিক, রাজনৈতিক ও পারিবারিক অধীনতা কিয়ৎপরিমাণে সহ্য করিতে হয়। পূর্ণ বাবু এইরূপ অধীনতাকে নির্ভর ভাব বলেন, এ অধীনতা সহ্য করিতে যিনি অপারগ তিনি নিশ্চয় যথেচ্ছাচারী, তিনি সভ্য সমাজের উপযুক্ত নহেন। যথেচ্ছাচারিতা পাশব প্রকৃতি, মানর ধর্ম্ম নহে। সমালোচ্য গ্রন্থান্তর্গত বঙ্গবামা শির্ষক প্রস্তাবে যে সকল কথা উক্ত হইবাছে, তাহার অধিকাংশই প্রতিবাদ-সহ, অতএব সে সম্বন্ধে একটি পৃথক্ প্রবন্ধ লিখিবার বাসনা রহিল।

 আমারা এই প্রস্তাবে যে সকল বিষয়ের আলোচনা করিলাম সেই সকল বিষয় পূর্ণ বাবুর ‘সমাজ-চিন্তায়’ বিস্তৃতরূপে আলোচিত হইয়াছে। পূর্ণ বাবু সেই সকল গুরুতর বিষয়ের অধিকাংশই দক্ষতার সহিত বিচার করিয়াছেন। তাঁহার চিন্তাশক্তি, তার্কিকতা এবং স্বজাতি ও স্বাধীনতা-প্রিয়তার প্রশংসা করিয়া আমরা শেষ করিতে পারি না। তাঁহার সমাজ-চিন্তা, চিন্তাশীল ব্যক্তি মাত্রেরই অভিনিবিষ্ট মনে পাঠ করা উচিত।

শ্রীলক্ষ্মীনারায়ণ চক্রবর্ত্তী।


রহস্য।

 সম্পাদক মহাশয়, আপনি “বিজ্ঞানদর্পণ” প্রকাশ করিতেছেন শুনিয়া বড়ই আহ্লাদিত হইলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় বাঙ্গালির মধ্যে প্রায় কাহারও বিজ্ঞানে আস্থা নাই। অনেকেই বলেন “আমি কেরাণি হইয়াছি, চিরকাল কেরাণিগিরি করিয়া মরিব, বিজ্ঞান পড়িয়া আমার কি হইবে?” অনর্থক নীরস বিজ্ঞান তত্ত্বে মস্তক বিঘূর্ণিত করিব কেন? এটি তাঁহাদের বিষম ভ্রম! সকল বিষয়ের কিছু কিছু জ্ঞান থাকা ভাল। একদা বিজ্ঞান আমাকে অজ্ঞান বাঙ্গালি পাইয়া কিরূপ দুর্গতি করিয়া ছিল তাহা বলিতেছি, শুনিয়া আপনাকে কাঁদিতে হইবে।

 ভাল করিয়া লেখা পড়া শিখিব এবং বড়লোক হইব, এই আশয়ে কালেজ