মানিক-গ্ৰন্থাবলী وو؟ নম্র তাহার গর্ব। রাজরাণী যেন সখা করিয়া দরিদ্র প্রজার গৃহে আসিয়াছে, স্মিত একটু হাসি, ছোড়া লেপ তোষক ভাঙ্গা বাক্স প্যাটরা ময়লা জামা কাপড় দেখিয়াও নাক-না- সিটকানোর মহৎ উদারতা, এই সব উপহার দিয়া সে চলিয়া যায়। বসিতে বলিলে বলে, এই যে বসি, বসার জন্য কি, বসেই তো আছি। সারাদিন । এদিক ওদিক তাকায় বিভা শুষ্ঠামার হাড়ি কলসী, লোহার চায়ের কাপ, ছোড়া চটের আসন, গোবর লেপা ন্যতা সব লক্ষ্য করে,-কিন্তু না, বিভাগ স্বপন-লাগা চোখে সমালোচনা নাই। কৃত্ৰিম না-থাকা নয়, সত্যই নাই। শুষ্ঠামা গামছা পরিয়া গা ধোয় বলিয়া বিভা তাকে অসভ্য মনে করে না, হাসে না মনে মনে । সে শুধু দুঃখ পায়। তার দয়া হয়। খাটি সমবেদনার সঙ্গেই সে মনে করে যে আহ, একটু শিক্ষা দীক্ষা পাইলে এমনটা হইত না, সকলের সামনে গামছা রিতে শ্যামা লজ্জা পাইত। হাসি যদি কখনো ৬ য় বিভার, সে বিধানের জন্য । হঠাৎ ঘরে হইতে বাহির হইয়া বিভাকে দেখিলে আবার সে ঘরে ঢুকিয়া যায়, বিভা যেন অসুৰ্যম্পশ্য অন্তঃপুরচারিণী, নিচের বাড়িওয়ালার মেয়ে-বৌ এর মত লজ্জাশীল। বিধান নিজে লজ্জা ইয়া সরিয়া গেলে কথা ছিল না, বিভার লজ্জা বঁাচানোর জন্য ভদ্রতা করিয়া সে সরিয়া যায় বলিয়াই বিভার 하f t | আপনার বড় ছেলে বুঝি - সে জিজ্ঞাসা করে। শু্যামা বলে, হঁ্যা । এত অল্প বয়সে ৩ জুড়া ছেড়ে চাকরিতে ঢুকেছেন ? দুঃখের সংসার মা, উপায় কি ! নইলে ছেলে আমার DD DBD D BBLDDS DD BDB K KBz D BBB কথা ?-বলিয়া শ্যামা নিশ্বাস ফেলে, কি পৰীক্ষা দিয়ে ডেপুটি হয় না, তাই দেবার জন্যে তৈরী হচ্ছিল, ভগবান বিরূপ ୧୦୩୩ | বিভা বলে, ও । শু্যামার একদিকের প্রতিবেশিরা এমনি । নিচের তলার মতই ঘরোয়া গৃহস্থ মানুষ, সরযুদের মত উড়, উড়ু, পাখী DD S K DBD DBLDLD DDSDBDBDBSBuBD LD DDD লেপতোষক ! কত ছিলেন আদালতের পেস্কার, পেনসন লইয়া এখন হােমিওপ্যাথি চিকিৎসা করেন। প্ৰতি মাসের দুই তারিখে সকালবেলা ভাড়ার রসিদ হাতে সিড়ির শেষ উঠিয়া ডাকেন, বিধানবাবু! নেত্যবাবু! আছেন না বাড়িওলার ছেলেমেয়ে বৌ নাতিনান্তনিতে একতলাটা বোঝাই হইয়া থাকে,-ক’খানা মাত্র ঘর, কি করিয়া। ওদের কুলায় কে জানে। তিনটি বিবাহিত পুত্রকে তিনখানা ঘর ছাড়িয়া দিলে বাকি সকলে থাকে কোথায়? বাকি ঘর তো থাকে মোটে একখানি। কতা গিরি, একটি বিধবা মেয়ে, ছোট মেয়ে আর মেয়ের জামাইও এখানে থাকে তারা, পেটেণ্ট ওষুদের ক্যানভাসার ভাইপোটি, সকলে ওই একখানা ঘরে থাকে নাকি ? প্ৰথমটা শু্যামার বড় দুর্ভাবনা হইত। তারপর একদিন রাত্রে রাধিয়া বাড়িয়া বাড়িওলা গিরির সঙ্গে খানিক আলাপ করিতে গিয়া সে ব্যাপার বুঝিয়া আসিয়াছে। বড় দু’খানা ঘরের প্রত্যেকটির মাঝামাঝি এ দেয়াল হইতে ও-দেয়াল পর্যন্ত তার টাঙ্গানো আছে, তাতে ঝলানো আছে ছিটের পর্দা। দিনের বেলা পর্দা গুটানো থাকে, রাত্রে দা টানিয়া দুখানা ঘরকে চারখানা করিয়া তিন ছেলে আর মেয়ে-জামাই শয়ন করে পর্দার উপরে একটি বিদ্যুতের বাতি জালিয়া দু’দিকের দম্পতিকে আলো দেয় । সিড়ির নিচে যে স্থানটুকু আছে ক্যানভাসার ভাইপোটি সেখানে থাকে। নাম তাহার বনবিহারী। সিঁড়ির উপরে রেলিং ঘোষিয়া দাড়াইলে নিচে বনবিহারীকে দেখিতে পাওয়া যায়। সারাদিন বাহিরে বাহিরে ঘুরিয়া রাত্রি আটটা ন’টার সময় সে ফিরিয়া আসে। ওষুধের সুটকেশটি চৌকির নিচে ঢাকাইয়া জামাটি খুলিয়া সে পেরেকে টাঙ্গাইয়া দেয়, কা ডু গায়ে দিয়া চৌকিতে বসিয়া জুতার ফিতা খোলে। তারপর চৌকিতে পা ও লিয়া নিজের পা টিপিতে আরম্ভ করে নিজেই। হঠাৎ বাড়িওলা গিন্নি ডাক দেয়, বনু এলি, বনু ? পাউরুটি আনা DD S SBDBK DDS TLKBDS D BB DBB BBDD দোকান থেকে চট করে একটা রুটি নিয়ে আয়,- সকালে উঠে খাই খাই করে সবাই তো খাবে আমায়। কোনদিন বড়বেী কোলের ছেলেটিকে দিয়া যায়, বলে, দেখো তো ভাই পার নাকি ঘুম পাড়াতে হেঁটে হেঁটে ? ডানা আমার ছিড়ে গেল। কোনদিন বাড়িওয়ালা স্বয়ং আসেন দাবার ছক লইয়া, বলেন, আয় বনু বসি একদন ।-বনুর ভাত ঢাকা দিয়ে রাখো বৌমা, দুধ থাকে তো দিও দিকি বনুকে একটু, দু' হাতাই দিও,-ক্ষীর করে রােখ বাকিটা। কালের মত ঘন কোরো না বাছা ক্ষীর, ঘন ক্ষীর খেয়ে আজ পেট কামড়েছে,-পাতলাই রেখে আর চিনি দিও একটু। ভানু, ও ভানু, তামাক দে দিকি মা-বড় কলকেতে দিস বেশি তামাক দিয়ে। এসব দেখিয়া শুনিয়া শ্যামার চোখে যদি জল আসিত, সে জল সোজা গিয়া পড়িত বনবিহারীর মাথায় পথের ধূলায় ধূসর রূক্ষ চুলে। এক একদিন বিভা আসিয়া দাঁড়ায়। ঝকিয়া দেখিয়া ফিসফিস করিয়া বলে, অনেক মানুষ দেখেছি, এমন বোকা কখনো দেখিনি মাসিমা । এমন করে এখানে তোর পড়ে থাকা কেন ? মেসে গিয়ে থাকলেই R | রোজগারপাতি বুঝি নেই।-খাম বলে। কুড়ি পাঁচশ ও যা পায় মাসিম, একজনের পক্ষে তাই
