পাতা:মাসিক মোহাম্মদী (প্রথম বর্ষ).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

GԵ* LLLLSLLLLLLLL LLLLLLLLSMLSSLLLLLL LLL SL LLLLL LL LLLLLLLALL LLLS LL LLL LLL LLL LLLLLLS AAALS SLLLL LLAALALALAL LASLLALAL LLLLMMMLLLLLL LLLLLL LAAAAALL LL LLLLLLLLSLSLLLLSLLALLSS M LALLLL Lii প্রত্যক্ষ প্রমাণের বিপরীত একটা অবাস্তব কল্পনা ব্যতীত আর কিছুই নহে। আমরা যাহা বলিতেছি, তাহ নিত্য প্রত্যক্ষ জাজ্জ্বল্যমান সত্য। লেখকের কথা মতে “জীবনের স্বাস্থ্য”কে বিচারের মানদণ্ডরূপে অবলম্বন করিয়া, বঙ্গোপসাগরের উপকুল হইতে হিস্পানিয়ার সীমান্ত পৰ্য্যন্ত চলিয়া যাও, এবং প্ৰত্যেক প্রদেশের মুছলমানের স্বাস্থ্য দৈহিক গঠন ও শক্তি সামর্থ্য পরীক্ষা করিয়া দেখ, বিশেষতঃ বাঙ্গালার অনশনক্লিষ্ট অজ্ঞ মুছলমান কৃষকের পানে দৃষ্টিপাত কর, তাহা হইলে আমাদিগের কথার সত্যতা হৃদয়ঙ্গম করিতে পরিবে। গবৰ্ণমেন্টের স্বাস্থ্যবিভাগের পরম্পরাগত বিবরণ ও তাহার দার্শনিক সিদ্ধান্ত, বিগত অৰ্দ্ধ শতাব্দীর আদম শুমারীর ধারাবাহিক রিপোর্ট ও তাঁহার ন্যায় সঙ্গত স্বাভাবিক বিশ্লেষণ এবং অন্যান্য সরকারী কাগজ-পত্রগুলি একবাক্যে আমাদিগের মতের সমৰ্থন করিতেছে। বলাবাহুল্য যে এক্ষেত্রে প্রমাণেরভার লেখকের স্কন্ধে ন্যস্ত রাহিয়াছে, সুতরাং আজ আমরা এসম্বন্ধে আর কিছু বলিব না। মানুষের চরিত্রগত পতনের কারণগুলির সহিত একাধিক স্ত্রী গ্রহণের অনুমতির কোনই সম্বন্ধ নাই। যৌন-সংসর্গের যে বৃত্তি জীবদেহে স্বভাব কর্তৃক নিহিত রাখা হইয়াছে, তাহাকে অস্বীকার করা মানুষের পক্ষে সঙ্গত নহে, সম্ভবপরও ' নহে। আদৌ বিবাহের অনুমতি না থাকিলেও মানুষ স্বভাবতঃ সেই সম্ভোগ-লিপ্তসার হাত এড়াইতে পারিত না । কাজেই সেই রিপুগত প্ৰবৃত্তির প্রভাব হইতে মানুষের মন ও মস্তিষ্ক কখনও সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হইতে পারে না। তাহাকে অপব্যবহার ও “অত্যাচার হইতে নিবৃত্ত” রাখা এবং প্রাকৃতিক আবশ্যকতা অনুযায়ী যথাযথ ব্যবহারের জন্য সুনিয়ন্ত্রিত করিয়া দেওয়াই ধৰ্ম্মশাস্ত্রের কাজ। লেখক যে যুক্তিসূত্র অবলম্বন করিয়া ওঁঠহার। কাৰ্য্যকারণপারস্পাৰ্য্য নিৰ্দ্ধারণ করিয়াছেন, তদনুসারে, চরিত্রবান হইতে গেলে মানুষকে প্ৰথমে সেই স্বভাব প্ৰবৃত্তির সম্পূর্ণ ধ্বংস সাধন করিয়া লইতে হইবে। ফলে সংযমের অর্থ দাড়াইবে সংহার, এবং ইহাও অস্বাভাবিক ও অধৰ্ম্ম । ধৰ্ম্মের এই নিয়ম কানুনগুলির প্রতিপালন করার নামই সংযম এবং তাহাকে অমান্য করার ফলেই পতন। যে সমাজ অথবা সমাজের যে স্তর ধৰ্ম্মের অনুশাসনকে যে পরিমাণে অস্বীকার করিয়াছে, চরিত্রের হিসাবে তাহাদের ততই পতন হইতেছে, আশা করি একখা সপ্রমাণ করার জন্য । আমাসিনক মোহাম্মদী AA EAL TLL AALL LLLLL LL LLL LLL LLLLLLLLS eELL LLLM LLL LLL LLLLLLLeLeeLMLLSLLMLS LMeLLLLS LL LSL LLLLLL LALLSS ML eeLeq M EL ES 0S eLLLLL LLLLLS LL LLLLL S LLLLLL ALA AeLAA AALLLLL S0S MMALLLLLLL LL LLLLLL [ ১ম বর্ষ, ১ম সংখ্যা YNAWrAvrVVNAV অধিক বাক্য ব্যয়ের দরকার হইবে না। ফলতঃ এ ক্ষেত্রে যুক্তিাৱ হিসাবে এক স্ত্রী গ্ৰহণ বা একাধিক স্ত্রী গ্ৰহণের অনুমতি থাকা অথবা আদৌ স্ত্রী গ্ৰহণের অনুমতি না থাকা একই কথা, তাহা চরিত্রগত পতনের মূলীভূত কারণ রূপে কখনই গৃহীত হইতে পারে না। ইহার একমাত্র কারণ হইতেছে ধৰ্ম্মের বিধানকে অস্বীকার করা এবং ধৰ্ম্মের নৈতিক শিক্ষাকে ভুলিয়া যাওয়া। শিক্ষা সংসৰ্গ ও রাজবিধান “চিন্তার মুক্তি” ও “মানুষের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার” নামে আজকাল এই মরণের পথকে সুগম করিয়া দিতেছে। লেখকের মন্তব্যে বলা হইয়াছে যে, মুছলমান যে সংযম ও চরিত্রহীন, একাধিক স্ত্রী গ্ৰহণের বিধিই তাহার একমাত্ৰ কারণ। তাহা হইলে মোটামুটি ভাবে একথা ধরিয়া লওয়া যাইতে পারে যে, যে সকল সমাজে একাধিক বিবাহের বিধি নাই, বরং নিষেধ আছে ; সংযম বজ্জিত ও চরিত্রহীন মানুষ তাহাদের মধ্যে একপ্রকার দুলভ। কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্রে আমরা ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত ফল দেখিতে পাইতেছি। ইউরোপ ও আমেরিকা একাধিক বিবাহের নামে শিহরিয়া উঠে, ইহা সকলেই অবগত আছেন। কিন্তু চরিত্রের হিসাবে ঐ সকল দেশ যে এশিয়ার তুলনায় কতদূর অধঃপতিত, তাহার পরিচয় দিতে যাওয়াও সুরুচি ও শ্লীলতার বিপরীত। লেখকের মন্তব্যটা কতকগুলি পরস্পর-নির্ভরশীল অন্যায়। সিদ্ধান্তের সমষ্টি ব্যতীত আর কিছুই নহে। মুছলমান সমাজে হাজারকরা একজন পুরুষও একাধিক স্ত্রী গ্ৰহণ করে না। লেখক বলিতেছেন-আর্থিক দৈন্যই ইহার একমাত্র কারণ। কিন্তু আমরা দেখিতেছি, ইহাদের মধ্যে অনেক লোক একাধিক স্ত্রীর ভরণপোষণে আদৌ অসমর্থ নহে। তন্ত্ৰাচ তাহারা একাধিক স্ত্রী গ্ৰহণ করিতে প্ৰস্তুত হয় না । আবার একাধিক স্ত্রী গ্ৰহণ করিলে, তাহাদ্বারা সকল অবস্থার সমস্ত লোকের যে আৰ্থিক হিসাবে বিশেষ কোন ক্ষতি হয়, ইহাও অসঙ্গত কথা। পক্ষান্তরে একাধিক স্ত্রী গ্রহণে আর্থিক দৈর্যের যে ভাবনা মানুষের মনে জাগিয়া উঠে, অবৈধ সংসর্গে বা ব্যভিচারে লিপ্ত হইলে সে তুলনায় যে অল্প অর্থহানির আশঙ্কা থাকে, মানুষের সাধারণ অভিজ্ঞতা ইহার সম্পূর্ণ বিপরীত। একাধিক বিবাহ করার ফলে আর্থিক হিসাবে মানুষ ধ্বংস হইয়া গিয়াছে, ইহার কোন নজির জনসাধারণ দেখিতে পায় না। কিন্তু অবৈধ নারী সংসর্গের ফলে বহু লহ্মপতিকে