পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হরিষ-মঙ্গলচণ্ডী

সাধ হয়ে থাকে তবে এক কাজ কর। গেরস্তদের ক্ষেতে লাউ কুম‍্ড়ো আছে তাই তুমি লুকিয়ে তু’লে নাও গে; তারা তোমায় গালাগাল দেবে, যা না বলবার তাই বলবে, তোমার মনে তখন দুঃখ হবে, তাহ’লে তুমি একটু কঁদতে পারবে। তাই শুনে গয়লার মেয়ে লাউ কুম‍্ড়ো তুলতে গেলেন। কিন্তু ব্রতের পুণ্যিতে তাঁর শরীর শুদ্ধ হয়ে গেছে; তাঁর হাত লাগতেই ক্ষেত লাউ কুম‍্ড়োতে ভ’রে গেল। গৃহস্থেরা অবাক্ হ’য়ে ভাবতে লাগলো, ইনি তো সামান্য মেয়ে নন্, স্বয়ং লক্ষ্মী ঠাকরুণ! তারপর তারা সকলে গয়লার মেয়ের বাড়ীতে সব লাউ তরকারী ব’য়ে দিয়ে এল।

 গয়লার মেয়ের কান্না হলো না। তিনি সইয়ের কাছে গেলেন। গিয়ে বল্লেন সই, “সেজন” (আমি) কাঁদতে পাল্লে না। ব্রাহ্মণী বল্লেন, তোমার যদি কাঁদ‍্তে এতই সাধ হয়ে থাকে, তবে আর এক কাজ কর। রাজবাড়ীর হাতী ম’রে পড়ে আছে, তুমি ঐ হাতীর শোকে হাতীর গলা ধরে মরা-কান্না কাঁদ গে। গয়লার মেয়ে তাই কল্লেন। কিন্তু ব্রতের পুণ্যিতে তাঁর শরীর শুদ্ধু হয়ে গেছে; তাঁর হাত লাগতেই বারো বছরের মরা হাতী বেঁচে উঠলো। সকলে এই তাজ্জব দেখে বলাবলি করতে লাগলো, ইনি তো সামান্য মেয়ে নন, স্বয়ং লক্ষ্মী ঠাকরুণ! রাজা। এসে হাতী ঘোড়া সোনা রূপো সওগাদ দিয়ে গয়লার মেয়ের বাড়ীঘর ভরে ফেল্লেন।

 গয়লার মেয়ের কান্না হলো না। সবই উল‍্টো হলো! তিনি আবার সইয়ের কাছে গেলেন। গিয়ে বল্লেন, সই, সুখ আরো বেড়ে যাচ্ছে; সেই উপায় করো, যাতে “সেজন” প্রাণ