পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
হরিষ-মঙ্গলচণ্ডী

বঁচিবে না। বামুন ঠাকরুণ বল্লেন, আচ্ছা আর এক কাজ কর। এবার আদৎ সাপ পাঠাতে হবে। এবারে তোমার মেয়ের বাড়ী তত্ত্ব পাঠিয়ে দাও। সন্দেশের হাঁড়িতে সন্দেশ না দিয়ে দুটো কেউটে সাপ দাও। তোমার ছোট ছেলে মাথায় ক’রে তত্ত্ব নিয়ে যাক্। হয়, রাস্তায় তোমার ছেলের, নইলে মেয়ের বাড়ীতে কারুর একটা ভাল-মন্দ অবিশ্যি ঘটিবে। তখন তুমি যা হয় করিও। গয়লার মেয়ে তাই কল্লেন। তাঁর ছোট ছেলের মাথায় হাঁড়ি তুলে দিলেন। বৈশাখ মাস দারুণ রোদ; এক পুকুর-পাড়ে হাঁড়ি রাখিয়া গয়লার ছেলে স্নান করিতে। নামিল। তখন মা মঙ্গল চণ্ডী মনে ভাবলেন, আমার ভক্তের দুর্ম্মতি হয়েছে। তবে যদ্দিন আমার ব্রত করবে তদ্দিন ওকে চোকের জল কিছুতেই ফেলতে দেব না। এই ভেবে তিনি সাপ দূর ক’রে সমস্ত হাঁড়ি সোনা দিয়ে পুরে দিলেন। ছেলেটীর বড় খিদে পেয়েছিল। একটু সন্দেশ নিয়ে জলযোগ করতে দোষ কি, এই ভেবে সে হাঁড়ি খুলে দেখে, সবই সোণা! আশ্চর্য্য। হয়ে সে মনে কল্লে, মা দিদিকে গহনার জন্যে এত সোণা দিয়েছেন তা ভালোই; তবে কুটুম্ব বাড়ী যাচ্চি, খাবার সামগ্রী নিয়ে যাওয়াটা ভাল নয়। এই ভেবে একটু সোণা তুলে নিয়ে বাজার থেকে দই, সন্দেশ, মাছ, দুধ, পঞ্চাশ জন মুটের মাথায় দিয়ে ভগিনীর বাড়ী গেল। কুটুম্বেরা এত সোণা ও তত্ত্বের জিনিস দেখে আশ্চর্য্য হয়ে ছেলেটীর খুব সমাদর কল্লে। এদিকে গয়লার গিন্নি এলো চুলে উচুনীচু স্থানে দাঁড়িয়ে প্রস্তুত হয়ে আছেন, যেই তাঁর ছোট ছেলের, মেয়ের কি জামাইয়ের কুসংবাদটী পাবেন আর অমনি চিৎপাত হয়ে শোকে প্রাণ