পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জয়-মঙ্গলচণ্ডী

আর কাঁদতে পারে না, বুক যে ফেটে যাচ্চে। ব্রাহ্মণীর দয়া হ’লো। তিনি বল্লেন, তোমাকে আস্ছে মঙ্গলবার পর্য্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তিনি আগেই সব জায়গায় জায়গায় খবর পাঠিয়েছিলেন কেহ যেন মড়া পোড়ায় না, সাবধানে রাখিয়া দেয়। তারপর মঙ্গলবার ব্রাহ্মণীর উপদেশ মত গয়লার মেয়ে যোড়শোপচারে ভক্তি ক’রে মহা ধুমধামে মা মঙ্গল চণ্ডীর ব্রত করেন। পূজার ফুল জল মড়ার উপর ছড়িয়ে দিতেই ছেলে মেয়ে জামাই, লোকজন, হাতী ঘোড়া যে যেখানে ম’রে পড়ে ছিল সব বেঁচে উঠলো। গয়লার মেয়ের আনন্দের সীমা রহিল না। তিনি আবার সুখে স্বচ্ছন্দে সংসার করিতে লাগিলেন।

 এই হরিষ মঙ্গলচণ্ডীর ব্রত ভক্তি করিয়া যে বৈশাখ মাসে করে সে চিরকাল সুখে থাকে, তাকে চোকের জল ফেলতে হয় না। একথা যে বলে, যে শোনে, তার মঙ্গল হয়,

প্রণাম। সর্ব্ব মঙ্গল মঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থসাধিকে।

শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোস্তুতে॥


জয়-মঙ্গলচণ্ডী ব্রত

 এই ব্রত যে কোন মঙ্গলবারে বার মাস করা যায়। সুগৃহিণীগণ প্রতি মাসেই একবার নিয়ম পালন করেন। পূজা ও “শেখর” বা অর্ঘ্য নির্ম্মাণ হরিষ মঙ্গল চণ্ডীর ন্যায়। কেবল “কথা” ভিন্ন। কথাটী সুবিখ্যাত শ্রীমন্ত সওদাগরের উপাখ্যান। কবিকঙ্কণ মুকুন্দরাম রচিত চণ্ডীকাব্যে উক্ত আখ্যায়িকা সকলেই