ব্রহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর দেব সুরপতি।
চরণে ধরিয়া তাঁর করে নমোস্তুতি॥
সহস্র বদনে যাঁর কইতে নারে গুণ।
কি আর বর্ণিব আমি, নাহি কোন গুণ॥
পূজহ মঙ্গলচণ্ডী জগতেরি মাতা।
দুর্গতি নাশিনী দেবী সর্ব্বসুখ দাতা॥
পৃথিবীতে আছে এক উজানি নগরী।
অতি মনোরম্য স্থান যেন সুরপুরী॥
বিক্রমকেশরী নামে তথা নরপতি।
সেই দেশে বাস করে সাধু ধনপতি॥
লহনা খুল্লনা তাঁর দুইটী যুবতী।
কর্ম্ম অনুসারে সাধু হইল দুর্ম্মতি॥
বিধাতা-নির্ব্বন্ধ তাই সতীন বচনে।
খুল্লনাকে নিয়োজিল ছাগল রক্ষণে॥
ছাগল হারায়ে নারী দৈবের কারণ।
ব্যাকুল হইয়া হায় ভ্রমে বনে বন॥
ভ্রমিতে ভ্রমিতে বালা হইল মুর্চ্ছিত।
জয়কার হুলুধ্বনি শুনে আচম্বিত॥
সেই দিকে যান সতী প্রবেশিয়া বন।
সরোবর তীরে গিয়া দেখে নারিগণ॥
পঞ্চবর্ণ গুড় দিয়া করেছে মণ্ডল।
মধ্যেতে শোভিছে ঘট পূর্ণ তাহে জল॥
অষ্ট গাছি দুর্ব্বা আর অষ্টটী তণ্ডুল।
ধুপ দীপ ফুল ফল নৈবেদ্য বহুল॥
পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০
জয়-মঙ্গলচণ্ডী