পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ষেটের বাছা
৩৯

বার পথে প্রথমে ঐ দাসীর সঙ্গে দেখা। সে বল্লে, ঠাকুর গো! প্রণাম হই। আমি তোমার জন্যে পথের পানে চেয়ে আছি। ব্রাহ্মণ বল্লেন, হাঁ বাছা, তোমার কথা বলেছি। তুমি আগে এক বামুনের বাড়ীতে দাসী ছিলে; কেমন? “হাঁ, ঠাকুর ঠিক বলেছ।” ষষ্ঠী ঠাকরুণ বল্লেন, তখন তুমি কাজে গাফিলি কোরতে। এই জন্যেই তোমার এই দশা। ষষ্ঠী বল্লেন, তুমি এক বামুনের বাড়ীতে কাজ কর গে, তবেই তোমার ভাল হবে। তাই শুনে সে বল্লে, ঠাকুর বাঁচলুম; তুমিই তো বামুন, তোমার বাড়ীতেই আমি কাজে লেগে যাই। ব্রাহ্মণ বলিলেন, আচ্ছা চল।

 তারপর চুণওয়ালী, কাঠকুড়ুণী, আমগাছ ও অবশেষে গাইয়ের সঙ্গে দেখা হলো। তারা সব কথা শুনে, তিনিই তো ব্রাক্ষণ এজন্য তাঁকেই চুণ খড়কাঠ, আম ও দুধ দিতে চাইলে। ব্রাক্ষণ অগত্যা স্বীকার কল্লেন। তারা মুক্ত হলো।

 ব্রাহ্মণ বাড়ীতে এলেন। কিছুকাল পরে মা ষষ্ঠীর বরে তাঁর এক পরম সুন্দর ছেলে হলো। মা বাপের মুখে সদাই কেবল “যাট, বাছা, সাত রাজার ধন মাণিক আমার” ইত্যাদি। ছেলে একদিন দুষ্টমি ক’রে নাপিতের কান কেটে দিলে। নাপিত চেঁচাইতে লাগিল। ব্রাহ্মণ ও ব্রাহ্মণী ছুটে এসে “মানিক আমার! দুলাল আমার” ব’লে ছেলেকে কোলে নিলেন, আর নাপিতের হাতে কিছু টাকা গুঁজে দিয়ে বিদায় কল্লেন। তার পর ছেলে একটু বড় হ’লে আদর করে তার বিয়ে দিলেন। একদিন ছেলেটী বউকে মিছিমিছি খুব মা’ল্লে। মার খেয়েও কনে বউটী বল্লে,