পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমিষ-বিভ্রাট
৪৩

মূলা-ষষ্ঠীব্রত কথা।

 এক ছিলেন ব্রাহ্মণ। তাঁর মাংস খেতে সাধ গেল। এক দিন কোথেকে এক হাঁস নিয়ে এসে ব্রাহ্মণীকে বলেন, আমার মাংস খেতে ইচ্ছে হয়েছে, আমায় রেঁধে দাও। আর তুমি না পার, বউমাকে বল, সেই রেঁধে দিবে। তার বাপেরা বড় লোক, কত দেখেছে শুনেছে ও ভাল রান্না জানে। বউ মাংস রেঁধে বাড়ীর দাসীকে বল্লে, ঝি, ঠাকুর এত সাধ ক’রে খাবেন, তুই একটু চেকে দেখ, কেমন রান্না হয়েছে। আমার সকল সময় নুন আন্দাজি ঠিক হয় না। দাসী কোন দিন মাংস খায়নি। তার বড় লোভ হলো। সে খানিকটা খেয়ে বল্লে, যে গরম দিয়েছ কিছু স্বাদ পেলুম না; আর একটু দাও দখি। আবার মাংস চেকে বল্লে, হাঁ হয়েছে, তবু যেন কেমন একটু লাগছে; আবার দাও দেখি। বেশী করে দাও, ঠাওরাতে পাচ্ছিনে। লোভে ঝির নোলা সগবগিয়ে উঠেছে, এম্নি ক’রে চাক‍্তে চাক্‌তে হাঁড়ির মাংস ফুরিয়ে গেল। বউ বল্লে, ঝি তুই কি কল্লি, সব মাংস খেয়ে ফেল্লি! কি হবে! তুই শীগগির দৌড়ে যা, আর একটী হাঁস যদি পাস্ তবে তোকে পুরস্কার দেবো, আমি দাম দিচ্ছি। ঝি ভয়ে ও পুরস্কারের লোভে হাঁস না পেয়ে, অবশেষে পাড়ায় গেরস্তদের একটা আধ-মরা রোগা বাছুর ছিল, তাই লুকিয়ে কেটে বউকে মাংস এনে দিলে। মাংস কিছুতেই সিদ্ধ হয় না। বউ বল্লে, ঝি, কি মাংস আন‍্লি, সেদ্ধ হয় না কেন? তোর বুকের পাটা তো কম নয়। ঝি যতমত খেয়ে বল্লে, সে কি কথা গো, হাঁসের মাংস চিন্তে পার