পাতা:মেয়েলি ব্রত ও কথা - পরমেশপ্রসন্ন রায় (১৯০৮).pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমিষ-বিভ্রাট
৪৫

তখন ব্রাহ্মণ সোণার ষষ্ঠী গড়িয়ে মুক্তার হার পরিয়ে ষোড়শোপচারে পূজা করলেন। সে দিন তিনি নিরামিষ আহার ক’রে পৃথিবীতে প্রচার ক’রে দিলেন, ষষ্ঠীব্রতের দিন মাংস দূরে থাক কেউ মাছও যেন না খায়। এই ব্রত যে করবে সে পুত্রকন্যা নিয়ে পরম সুখে কালযাপন করবে।[১]

 প্রণাম। জয়দেবি জগন্মাতঃ ইত্যাদি।


নাগ পঞ্চমী ব্রত।

 শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণা পঞ্চমীতে এই ব্রত করণীয়। বর্ষা সমাগমে সর্পগণ ক্ষেত্র ও অরণ্যের বিবর পরিত্যাগ পূর্ব্বক লোকালয়ে বাস করিতে অগ্রসর হইয়া থাকে। চোর অগ্নি ও ব্যাঘ্রভয় প্রভৃতি বিপদে সতর্কতা অবলম্বন বরং সুসাধ্য। কিন্তু। একমাত্র মনসাদেবীর কৃপা ভিন্ন সর্পভয় হইতে মুক্তিলাভের গত্যন্তর নাই। এক শ্রাবণ মাসেই নিম্নবঙ্গে সর্পদংশনে অধিকাংশ অকালমৃত্যু সঙ্ঘটিত হইয়া থাকে। সুতরাং এই সময় গ্রামবাসীদিগকে অতিশয় শঙ্কিত অবস্থায় কালযাপন করিতে হয়। পল্লিবাসিনীগণ শাস্ত্রবিহিত কৃষ্ণা পঞ্চমীতে একবার মাত্র ব্রত করিয়াই নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন না। তাঁহারা ভীতি-সঙ্কুল শ্রাবণের আদি এবং অন্তেও (আষাঢ় ও শ্রাবণ সংক্রান্তি দ্বয়ে)


  1. আশা করা যায় উপরোক্ত ব্রত কথা পাঠ করিয়া অন্ততঃ দু'একটী উদ্ভ্রান্ত হিন্দু যুবক “হোটেল” বা মাংস-বিপণির আহার স্পৃহা সংযত করিতে চেষ্টা করিবেন।