পাতা:সমসাময়িক ভারত (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্লিনি »७ পৌঁছিয়াছিলেন। অথচ সিন্ধু গঙ্গা অপেক্ষা ক্ষুদ্র। আমাদের নাগরিক সেনেকা যিনি ভারতবর্ষ সম্বন্ধে এক পুস্তক লিখিয়াছেন তিনি। বলেন যে ভারতবর্ষে ৬০টী নদী আছে এবং ১১৮টা জাতি আছে। : পৰ্ব্বতের সংখ্যা নির্ণয়ও এইরূপ দুঃসাধ্য ব্যাপার। ইমায়স, হিমোদিস, প্যারোপানিসাস এবং ককেসাস পর্বতশ্রেণী একটী অপরের সহিত সংযুক্ত এবং তাহদের সানুদ্দেশ্য হইতে একটী বিরাট সমতল ক্ষেত্ৰ বহির্গত হইয়াছে। এই সমতল ক্ষেত্ৰ দেখিতে অনেকটা মিসরের ন্যায়। কিন্তু যাহাতে এই দেশের ভূগোল সহজে বোধগম্য হইতে পারে, তজ্জন্য আমরা আলেকজান্দার যে যে পথে গিয়াছিলেন তাহাই অনুসরণ করিব । এই পথ ডায়গানিটিস ও বিটন কর্তৃক পরিমিত হইয়াছিল। . তাহারা বলে যে, আলেকজান্দ্ৰিয়া হইতে ৫০০ • ষ্টডিয়া দূরে অবস্থিত সিন নগরে অয়নাস্তের দিন দ্বিপ্রহরে সুৰ্য্যের কোন ছায়া দৃষ্ট হয় না। পরীক্ষার জন্য একটী গৰ্ত্ত খনন করিলে দেখা গিয়াছিল যে, ঐ গৰ্ত্ত সুৰ্য্যালোকে আলোকিত হইয়াছিল। এতদৃষ্টি প্রতীয়মান হয় যে সূৰ্য্য, ঐস্থানে লম্ব। অনিসিক্রিটস বলিয়াছেন যে, ঐ সময়ে হাইফাসিস নদীতেও এইরূপ ঘটিয়া থাকে। ভারতীয়গণের অন্তভূত ওরিটিস নামক জাতির দেশে গ্রীষ্মকালে দক্ষিণ দিকে ও শীতকালে উত্তর দিকে ছায়া পড়ে । সপ্তর্ষিমণ্ডলের নক্ষত্রগুলি বৎসরে কেবল মাত্র পনর দিবস দেখা যায়। পাটল নামক সুবিখ্যাত বন্দরেও সূৰ্য্য দক্ষিণ দিকে উঠে এবং সেই জন্য ছায়া দক্ষিণ দিকে পড়ে। আলেকজান্দার যখন সেইস্থানে ছিলেন তখন সপ্তর্ষিমণ্ডলের নক্ষত্রগুলি মাত্র গোধূলিকালে দেখা । যাইত। তঁহার অন্যতম সেনাপতি আনিসিক্রিটস বলেন যে, ভারতবর্ষের যে সকল স্থানে ছায়া পড়ে তথায় সপ্তর্ষিমণ্ডল দৃষ্ট হয় না। এই সকল স্থানকে এসিয়া বলে, এবং তথায় ঘণ্টানুসারে সময় নির্ণীত হয় না। W