পাতা:সমসাময়িক ভারত (প্রথম খণ্ড).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিবেদন Yè) সেলুকাস-দুহিতা চন্দ্ৰগুপ্ত-মহিষীর সহিত সাক্ষাতকালে অনেক বৃত্তান্ত সংগ্ৰহ করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন। এই স্থানে অবস্থান কালীন, তিনি যে সকল বৃত্তান্ত সংগ্ৰহ করেন তাহাই ওঁঠহার। সুপ্ৰসিদ্ধ “ইণ্ডিকা” ( ১৯ ) নামক পুস্তকে প্ৰকাশিত হইয়া, তৎকালীন ভারতের, ভারতীয় স্বর্ণযুগের এক পরিস্ফুট চিত্র রাখিয়া গিয়াছে। মেগাস্থেনিসের ইণ্ডিকা হইতে, পরবত্তী অনেক লেখক ভারতবর্ষের কথা সঙ্কলন করিয়া নিজ নিজ গ্রন্থে উল্লেখ করিয়াছেন । কিন্তু মেগাস্থেনিসের সমসাময়িক কালে, এমন কি পরবত্তী কালেও অনেক দিন পৰ্য্যন্ত তাহার বৃত্তান্ত কেহই বিশ্বাসযোগ্য বলিয়া বিবেচনা করিতেন না । ষ্ট্রাবো তাহাকে অনেকবার ‘মিথ্যাবাদী’ বলিয়া আখ্যাত করিয়াছেন বটে, কিন্তু ষ্ট্রাবােও মেগাস্থেনিসের গ্রন্থ হইতে, নিজ গ্রন্থে ভারতীয় চিত্র উদ্ধৃত করিতে বিন্দুমাত্রও দ্বিধা বোধ করেন নাই। ষ্ট্রাবোর অবিশ্বাসের প্রধান কারণ এই যে, মেগাস্থেনিস র্তাহার ইণ্ডিকা গ্রন্থে অনেকগুলি অদ্ভুত বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। কিন্তু, এই সকল অদ্ভুত বৃত্তান্ত সংস্কৃত গ্ৰন্থাদিতে দৃষ্ট হয়। সুতরাং পরিষ্কার ভাবেই দেখা যাইতেছে যে, মেগাস্থেনিস, চন্দ্রগুপ্তের রাজধানীতে বাসকালীন লোকপরম্পরায় এই সকল মনুষ্যের কথা অবগত হইয়াই উহাদের বর্ণনা নিজ গ্রন্থে উল্লেখ করিয়াছেন। যাহা হউক, বৰ্ত্তমানে সকলেই মেগাস্থেনিসের বৃত্তান্ত বিশ্বাসযোগ্য বলিয়া 3家여 3TF | to Bindusara or to his successor, Asoka." (Vincent Smith : Early History of 1ndia, Second Edition p 109). (১৯) মেগাস্থেনিস প্রণীত ‘ইণ্ডিকা" আমরা পূর্বেই উল্লেখ করিয়াছি। ইণ্ডিকায় চিত্রিত বর্ণনার সঠিত চাণক্য প্রণীত অর্থশাস্ত্রের বর্ণনার যথেষ্ট সাদৃত আছে । (১) পাদটীকা দ্রষ্টব্য।