Տ ՀԵ ভারতে ইউরোপীয়ান পৰ্যটক মনুষ্যগণ বিশেষ কষ্টসহকারে ভ্ৰমণ করিতে পারে। সমুদ্রের উপকূল ? পৰ্য্যন্ত ৰীপটী গ্ৰামপূর্ণ এবং কানারীন নামক পূৰ্বোক্ত অধিবাসিপূর্ণ। ইহারাই এই সকল স্থানের প্রকৃত অধিবাসী এবং ইহারা ভূমি কর্ষণ ও তালবৃক্ষ দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে। এই সকল কানারীনগণের গ্রাম ও বাসস্থানসমূহ দ্বীপের চতুর্দিকে, নদী বা হ্রদের নিকটে অবস্থিত। তালবৃক্ষ নিম্নভূমি ব্যতীত অন্যত্র জন্মে না বলিয়া ইহারা এই সকল স্থানে বাস করে। এই জন্য সমুদ্রতীর বা নদীকূলে বালুকাময় ভূমি ব্যতীত অন্য কোন উচ্চ ভূমিতে তালবৃক্ষ জন্মে না। গোয়ানগরের পূৰ্ব্বদিকে, বার্দেস নগরের তিন মাইল দূরে পর্তুগীজদিগের জাহাজগুলি নোঙর করা হয়। নদীতে কয়েকটি অপ্ৰশস্ত প্ৰণালী আছে ; এই সকল স্থানে দুইশত টন বোঝাই জাহাজ গমনাগমন করিতে পারে। তবে, বৃহৎ বৃহৎ জাহাজগুলি বহির্দেশে পণ্য নামাইয়া দেয়। পণ্য নামাইয়া দিলে তাহারা অনায়াসে নগর পর্য্যন্ত অগ্রসর হইতে পারে। নগরটী পর্তুগীজ প্ৰণালীতে সুন্দর সুন্দর গৃহ ও রাজপথদ্বারা সুশোভিত ; তবে গ্রীষ্মের জন্য গৃহগুলি অপেক্ষাকৃত নিম্ন। সাধারণতঃ গৃহের পশ্চাদভাগে পুষ্পবাটিকা ও ফলোদ্যান থাকে ; এই সকল ফলোদ্যান ভারতীয় সকল প্রকার ফলেই পরিপূর্ণ। দ্বীপের সর্বত্ৰই উদ্যান ও ক্ষেত্ৰ। উদ্যান ও ক্ষেত্রগুলি গৃহ ও ফলবৃক্ষপুর্ণ। অধিবাসীরা ক্রীড়ার্থ এই সকল স্থানে গমন করে এবং ভারতীয় স্ত্রীলোকগণ এই সকল স্থানে বিশেষ আনন্দানুভব করে। লিসবনের ন্যায়। এই নগরে অনেক মঠ ও মন্দির আছে ; তবে এই স্থানে সন্ন্যাসিনী নাই; কারণ স্ত্রীলোকেরা এত দূরদেশে আসিতে ইচ্ছা করে না। পর্তুগীজদিগের শাসন ও নিয়মাবলী^সম্বন্ধে ইহা বলা যাইতে পারে যে পৰ্ত্ত গালেও যেরূপ প্ৰচলিত এতদেশেও সেইরূপ । নগরে সকল
