পাতা:সমসাময়িক ভারত ইউরোপীয়ান্‌ পর্য্যটক (প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লিনুসোটেনের ভ্রমণ-বৃত্তান্ত \\ থাকেন। এই শব্দে তাহারা অপর লোককে সাবধান হইতে বলেন। পলিয়ুস শ্রেণীভুক্ত কোন ব্যক্তি এই শব্দে স্থান ত্যাগ না করিলে ও কোন প্রকারে নেয়ারের গাত্র স্পর্শ করিলে, নেয়ার ইচ্ছাপূর্বক উহাকে হত্যা করিতে পারেন এবং সে জন্য • কেহই তাহাকে দায়ী করিতে পারে না । কোন নেয়ারকে পলিয়াস বা অন্য কোন জাতিভুক্ত ব্যক্তি স্পর্শ করিলে নেয়ারকে মান ও অন্যান্য আচারাদি সহ। শরীর পরিষ্কার করিতে হয় । কোন খৃষ্টীয়ানও নেয়ারকে স্পর্শ করিতে পারে না। পর্তুগীজগণ যখন সৰ্ব্বপ্রথমে ভারতবর্ষে আগমন করে, তখন শান্তিরক্ষার্থ কোচীনে ইহা স্থিরীকৃত হয় যে, দুই পক্ষের দুই জনে দ্বন্দযুদ্ধ করিবে এবং যে জয়লাভ করিবে তাহার জাতিই প্রাধান্য লাভ করিবে ; এই যুদ্ধে পর্তুগীজ যোদ্ধা জয়লাভ করাতে নিদ্ধারিত हैं। যে, নেয়াবগণ রাজপথে পর্তুগীজ দেখিলে স্থানত্যাগ করিবেন। নেয়ারগণ দীর্ঘ নখ রাখেন এবং ইহা দ্বারাই তাহাদের ভদ্রািত্ব প্ৰমাণিত হয় । নেয়ারদের অধ্যক্ষগণ, কনুইয়ের নিম্নে, সুবৰ্ণ বা রৌপ্যের বলয় বা অঙ্গুরীয় ব্যবহার করেন। ইহাদের শাসনকৰ্ত্তা, দূত ও নরপতিগণও এইরূপ অলঙ্কার পরিধান করেন । ইহা দ্বারাই তাহারা অন্যলোক হইতে চিহিত হইয়া থাকেন ; অন্য কোন প্ৰভেদাত্মক চিহ্ন নাই। নেয়ারদের অধ্যক্ষ, নরপতি বা অন্যান্য দলপতিগণের অন্যত্র গমনাগমন কালে-“অন্যান্ত নেয়ারগণ র্তাহাদের সমভিব্যাহারী হয় । ইহারা সুদক্ষ ও কলবান সৈন্য এবং অপরকে ভীষণভাবে আক্রমণ করিতে পারেন এবং অত্যন্ত প্রতিহিংসা পরায়ণ। জলযুদ্ধ বা স্থলযুদ্ধ কালে যদি কোন নেয়ার বর্শাবিন্ধ छ्न, ८ डैिनि गश्रकै পরাজয় স্বীকার করেন না ; দুই হস্তদ্বারা বর্শ শরীর হইতে উন্মুক্ত করিয়া শত্রুর প্রতি প্রতিহিংসা স্বাধনে চেষ্টা করেন।