পাতা:সমসাময়িক ভারত ইউরোপীয়ান্‌ পর্য্যটক (প্রথম খণ্ড).pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y8 ভারতে ইউরোপীয়ান পৰ্য্যটক গমন করিয়াছিলেন, সেই সকল দেশেরই মূল্যবান বৃত্তান্ত লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। ভার্থেমার পর্য্যটনের আর একটী বিশেষত্ব এই যে, তিনি রাজনৈতিক বা বাণিজ্য-ব্যাপদেশে ভ্ৰমণ করেন নাইভ্রমণের জন্যই দেশ পৰ্যটন করিয়াছিলেন। পর্তুগীজগণের ভারতবর্ষে প্ৰাধান্যলাভ করিবার অব্যবহিত পূর্বেই তিনি এতদ্দেশে আগমন করেন এবং স্থলপথে ভারতবর্ষে আসিবার পথ তিনি বিস্তৃতভাবে বর্ণনা कब्रिभाgछन । ১৫০২ খৃষ্টাব্দের শেষভাগে ভার্থেমা ইউরোপ পরিত্যাগ করেন এবং কাইরো, বিরাট, দামস্কাস এবং মক্কা হইয়া লোহিতসাগরের পথে এডেনে উপনীত হন। খৃষ্টধৰ্ম্মাবলম্বী গুপ্তচরবোধে শেষোক্ত স্থলে তঁহাকে কারাগৃহে নিক্ষেপ করা হয়। অতিকষ্টে অব্যাহতি লাভ করিয়া তিনি আফ্রিকার উত্তর-পূর্ব উপকূলে গমন করেন এবং তথা হইতে জাহাজে করিয়া গুজরাটের অন্তৰ্গত ডিউয়ে উপস্থিত হন । পুনবায় তিনি ভারতসমুদ্র উত্তীর্ণ হকীয়া অম্মাজে পৌছেন। তথা হইতে হিরাট নগর দেখিয়া পুনর্বার অম্মাজে প্ৰত্যাবৰ্ত্তন কবেন এবং সমুদ্র-পথে কাম্বে উপনীত হন। ভার্থেমা কাম্বের সংক্ষিপ্ত বিববণ প্ৰদান করিয়াছেন । তিনি বলিয়াছেন যে, “গুজরাটবাসীরা মাংসাহারে বা জীবিত প্ৰাণিহত্যায় বিরত থাকে। তাহারা মুসলমান ও নহে, হিন্দুও নহে। কিন্তু তােহাঁদের অধিপতি মুসলমানধৰ্ম্মাবলম্বী। তঁহার গোপ। এত দীর্ঘ যে, তিনি উহা স্ত্রীলোকের কেশের ন্যায় মন্তকের পশ্চাতে বাধিয়া রাখেন এবং তঁাহার-দাড়ী এত বড় যে, উহা তাহার কটদেশ পৰ্য্যন্ত বিলম্বিত থাকে।” কাম্বে হইতে ভার্থেমা চোল, দাবুল, ওনোর, এবং মাঙ্গালোর হইয়া বিজয়নগর পৌছেন। বিজয়নগর পরিদর্শন করিয়া তিনি কালিকটে