পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (পঞ্চম ভাগ).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন ১৬০৭, ৮ ইতিহাস-রচনীয় প্রণালী। اه দিয়াছিল, এবং স্বৈ’কাৰ্য্যপ্রণালীর অনুবৰ্ত্তী হইয়াছিল, তাহাই লিবিকে বহুবিধ বিভিন্ন - প্ৰকৃতির ঘটনাবলীর মধ্যেও, রোমের ইতিহাসে একতা রাখিতে সমর্থকরিয়া তুলিয়া ছিল। • রাজশক্তির সমক্ষে প্ৰজাশক্তির প্রাধান্ত রক্ষা করা ইংলণ্ডের জনসাধারণের প্রধান লক্ষ্য। ইংলণ্ডের লোকে ঐ লক্ষ্যানুসারেই আপনাদের শক্তির বিনিয়োগ করিয়াছে। জনসাধারণ আপনাদের লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া যে কাৰ্য্যপ্ৰণালীর অনুসরণ করিয়াছে, তদ্বারা গ্ৰীণ প্রভৃতি ঐতিহাসিকগণ ইতিহাসের শৃঙ্খলা রক্ষা করিতেছেন। () মানবপ্ৰকৃতি সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা লাভ করা ঐতিহাসিকের পক্ষে যেমন আবশ্যক, রাজনৈতিক বিষয়ে সুশিক্ষিত হওয়াও সেইরূপ প্ৰয়োজনীয়। ইতিহাসলেখককে ব্যক্তি বিশেষের চরিত্র ও কাৰ্য্যপ্ৰণালীর সমালোচনা করিতে হয়। প্ৰথম গুণাটী না থাকিলে এই সমালোচনা সৰ্ব্বাংশে সুসঙ্গত ও সমীচীন হয় না। রাষ্ট্রবিপ্লব বা রাজ্যশাসন সংক্রান্ত বিবিধ বিষয়ের, প্রকৃতি বুঝাইবার সময়ে দ্বিতীয়টির আবশ্যকতা দেখা যায়। রাজনৈতিক বিয়ে আধুনিক ঐতিহাসিকগণ প্ৰাচীন ঐতিহাসিকগণ অপেক্ষা অধিকতর অভিজ্ঞতার পরিচয় দিতেছেন । পূর্বে উক্ত হইয়াছে যে, বিভিন্ন দেশের সহিত ঘনিষ্ঠত এবং রাজ্যশাসন সংক্রান্ত বিবিধ বিষয় জানিবার সুযোগ না থাকাতে প্ৰাচীনকালের ইতিহাসলেখকগণ রাজনীতি-ক্ষেত্রে আপনাদের অভিজ্ঞতা দেখাইতে পারিতেন না। তঁহাদের ভূয়োদৰ্শিতা যেরূপ সীমাবদ্ধ, উপকরণও সেইরূপ অল্প ছিল। তঁাহারা স্বদেশবাসী দিগকে সন্তোষিত করিবার জন্য ইতিহাস বুঢ়া করিতেন। ভিন্নদেশবাসীদিগের সহিত তাহদের কোনও সংস্রব ছিল না । অধিকন্তু এখুন। যেমন সুন্মানুসূক্ষ্মীরূপে রাজ্যশাসনসংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ের আলোচনা হইয়া থাকে, পুর্বে তেমন ছিলনা। এই সকল কারণে আমরা গ্ৰীক ঐতিহাসিকদিগের নিকটে উক্ত বিষয়ের বিশদ বিবরণ জানিতে পারি না । গ্ৰীসের ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের সম্পত্তি, রাজস্ব ও সৈনিক বল কি রূপ ছিল, কি কি সুত্রে রাষ্ট্রবিপ্লব সংঘটিত আর কি ভাবে একরাজ্যের সহিত অপর রাজ্যের সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়াছিল, তদ্বিষয়ের অসম্পূর্ণ বিবরণ গ্ৰীসের প্রাচীনকালের ইতিহাসে Cथ राम ! বর্ণনা-কৌশলের পরিচয় দেওয়া ঐতিহাসিকের অন্যতম প্ৰধান গুণ। ইতিহাসের বর্ণনা যেরূপ সরল ও সুন্দর, সেইরূপ শৃঙ্খলাবদ্ধ ও স্বাভাবিক হইবে। ঐতিহাসিক লিপ্তিকুশল হইলে এ বিষয়ের উদ্দীপনা প্ৰকৃতি গুণের যথোচিত পরিচয় দিতে পারেন। এই গুণ দেখাইতে হইলে ঐতিহাসিক যে বিষয়ের ইতিহাস লিখিবেন, সেই বিষয় প্রকৃষ্টরূপে আয়ত্ত ** করিবেন। সমগ্ৰ বিষয়টা যেন তাহার নখদর্পণে প্রতিফলিত হয়। কোন স্থানে কোন ঘটনার সন্নিবেশ করিতে হইবে, ঘটনা-পরম্পরার মধ্যে কি রূপ শৃঙ্খলা রাখিতে হইবে, এক ঘটনা হইতে আর এক ঘটনায় উৎপত্তি স্থলে কি রূপে পরস্পরের মধ্যে সামঞ্জত দেখাইতে হইবে, তাহা যেন ইতিহাঁসলেখকের মনে দৃঢ়ৰূপে নিবন্ধ থাকে। এইরূপে সমগ্ৰ বিষয় অ্যায়িত্ত করিয়া, ইতিহােসলেখক বর্ণনাবৈচিত্র্য প্ৰকাশ করবেন। পাঠমাত্ৰ যেন فسسكا