[| || ۵/۰ ] ইলিয়াছেন। প্রবন্ধ বিষয়ে বক্তব্য এই যে, নগেন্দ্র বাবুর প্রবৃন্ধে অনেক নূতন নৈয়ায়িক ও ন্যান্স গ্রন্থের নাম এবং তাহদের হেতু জানা গেল। ইংরাজ অধ্যাপকেরা এতটা সংবাদ नैप्थन किन সন্দেহ। এদেশীয় অধ্যাপকেরা নব্য ন্যায়েরই আলোচনা বেশী করেন, প্রাচীন ন্যায়ের এই গ্ৰন্থ রাশির পরিচয় দুরে থাক, নামও বোধ হয় জানেন না। নব্য ন্যায়। ইংরাজ অধ্যাপকদিগের প্রিয় নহে। ইংরাজ পণ্ডিতগণের মধ্যে কেহই প্ৰ চাদর্শনের আলোচনায় এ পৰ্য্যন্ত নব্য ন্যায়৷ * • সম্বন্ধে কিছু লেখেন নাই। নগেন্দ্র বাবু নব্য ন্যায় সম্বন্ধে আজকার মত অনুসন্ধান ও গবুেষণা করিয়া যে প্ৰবন্ধ লিখিবেন তাহাতেই বোধ হয় আমাদের কৌতুহল মিটবে। ন্যায় শক্সে শাস্ত্ৰে যখন ন্যায়ও মীমাংসা উভয় অর্থই পাওয়া যায় এবং সতীশ বাবু যখন সে সম্বন্ধে কিছু বলিয়াছেন, তখন আগামী বারে নব্য ন্যায় প্ৰবন্ধে ন্যায় শব্দের প্রাচীন ও বর্তমান অর্থের উৎপত্তির এবং তৎশাস্ত্রের পারিভাষিক শব্দের প্রাচীন ও বর্তমান অর্থের বিষয় আলোচনা করিলে ভাল হয়। শ্ৰীযুক্ত বিহারীলাল সরকার বলিলেন, স্বয়ং রঘুনাথ শিরোমণি যে শাস্ত্রের প্রার পান নাই, সে শাস্ত্রের আলোচনায় তিনি বাদানুবাদ করিতে চাহেন না। বক্তা প্ৰবন্ধপাঠককে অজস্র আন্তরিক ধন্যবাদ দিয়া বলিলেন, যে বিজ্ঞাপনে বুঝিয়াছিলাম ন্যায়শাস্ত্রের (প্রাচীন ও নব্য ন্যায়ের ) দার্শনিক তত্ত্বের ক্রম-বিকাশ লইয়াই আলোচনা হইবে, কিন্তু প্ৰবন্ধলেখক কোন গ্ৰন্থ এবং গ্রন্থকার কবে কাহার পূৰ্ব্বে জন্মিয়াছিলেন, এই তর্ক লইয়াই সমস্ত প্ৰবন্ধটা লিখিয়া ছেন, তাহার যুক্তিযুক্ততা সম্বন্ধে তিনি কিছু বলিতে পারেন না, তবে ন্যায়গ্ৰন্থ ও নৈয়ায়িক গ্রন্থকৰ্ত্তার সময় নিরূপণই যে ন্যায়শাস্ত্রের ইতিহাস নহে। ইহাই তাহার বিশ্বাস। কৰ্ম্মবাদ, ভক্তিবাদ ও জ্ঞানবাদের সমন্বয় করিবার জন্যই ন্যায়শাস্ত্রের জন্ম। নগেন্দ্ৰ বাবু এ সম্বন্ধে আলোচনা করেন নাই। নগেন্দ্ৰ বাবু বলিলেন ন্যায়শাস্ত্রের প্রবর্তকের নাম গোতম। পুরাণে পাওয়া যায় বৃহস্পতির অক্তিশাপে গৌতম অন্ধ হইয়া দীর্ঘতম বা দীর্ঘতপা নামে খ্যাত হন, পরে সুরভির বরে তঁহার দৃষ্টিলাভ হইলে তিনি গৌতম নামে খ্যাত হন। এই গৌতম ও গৌতম এক কিনা ? র্তাঞ্ছার ইচ্ছ। এই যে ন্যায়শাস্ত্রের আবার আলোচনা হয়। নব্য ন্যায়ের জন্য ন্যায়শাস্ত্রের অধ্যাপনার জন্য বাঙ্গালা চিরবিখ্যাত। ন্যায় লইয়া আমরা চিরদিন গৌরব করি । সে গৌরবের বিষয়ের যত আলোচনা হয় ততই ভাল। দ্বারভাঙ্গ রাজগণের পূর্বপুরুষ মহেশ ঠাকুর আকবরের সভায় ন্যায়শাস্ত্রের আলোচনায় জয়ী হওয়াতেই পুরস্কার স্বরূপ যে ভূসম্পত্তি পান, তাহাই ঔদ্বংশীয়গণের বহু বিস্তৃত রাজ্যের বীজস্বরূপ। -- শ্ৰীযুক্ত সতীশচন্দ্ৰ বিদ্যাভূষণ মহাশয় পুনরায় বলিলেন, গৌতম ও গৌতমে প্ৰভেদ নাই , শ্ৰীযুক্ত দুর্গানারায়ণ কবিরাজ মহাশয় বলিলেন, আয়ুৰ্ব্বেদেও ’পদার্থতিত্ত্বের দার্শনিক ভাবে আলোচনা আছে। নাগাৰ্জ্জুনদ্বারা “সুশ্রুত ২য় বার সংস্কৃত হয়, তাহাতে ত্ৰিবিধ প্রমাণ ও ৩২টি তত্ত্ব অবলম্বন করিয়াই পদাৰ্থ বিচার করা হইয়াছে। নাগাৰ্জ্জুন ঈশ্বরবাদী নহেন, প্রায় সাংখ্য মতেয় সহিত একমত। চরক ষটপদাৰ্থবাদী, অভাব, পুদাৰ্থ স্বীকার করেন
