ভ্রাতৃদ্বিতীয় শ্যামাপূজার পর ভ্রাতৃদ্বিতীয়া। মা জাগিলে ছেলে জাগিবে। ছেলেদের পূর্ণ জাগরণ ঘটিলে তাহদের স্মৃতি, ধৃতি, লজ্জা, নুতি সবই জাগিয়া উঠিবে। দেবী বুদ্ধিরূপিণী হইয়া তখন তাহদের বুঝাইবেন যে, তোমরা এক মায়ের ছেলে—সহােদর ভাই। এই বোধট্রিকু হইলে সকল ভাই মায়ের অঞ্চল ধরিয়া, মাতৃস্নেহের ছায়ায় হাতমুখে দাড়াইতে পরিবে। তখন সহজ ধূতিরূপিণী ভগিনী ভাইয়ের কপালে তিলক দিয়া ভ্রাতৃগণকে অক্ষয়, অজার, অমর, অচ্যুত করিয়া তুলিতে পরিবেন। “ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোট। যমের দুয়ারে পড়ল কঁাটা॥” -এই ত সোজা কথা। ইহার প্রভাবে যমের দুয়ারে কেমন করিয়া কাটা পড়ে? সেই কথাটাই একটু খুলিয়া বলিবার চেষ্টা করিব। মনুষ্যদেহ অজার-অমর হইতেই পারে না। এ সোজা কথাটা জগতের মানুষ মাত্রেই বুঝে এবং জানে। তথাপি মানুষ কিন্তু অমর হইতে চাহে। এইটুকুই মনুষ্যত্বের বিশিষ্টতা। যখন দেহকে অমর করিতে পারি না, তখন দেহজ বিশিষ্ট শক্তিকে অমর ও অক্ষয় করিতে চাহি। তাই বংশের ধারা, জাতির ধারা রক্ষা · করিবার জন্য শাস্ত্র নানা স্থানে, নানা ভাবে উপদেশ দিয়াছেন। এই বংশের ধারা এবং জাতির ধারা অব্যাহতভাবে সুরক্ষিত হইলে জাতি এবং বংশ অমরত্ব লাভ করিতে পারে। কে জানে কত