Y (V2 ভ্রাতৃদ্বিতীয়া সম্মেলন-বিভা কত মধুর, কত সুন্দর, কেমন মনোহর | নীল আকাশ সেই শুষ্ঠামের প্রতিচ্ছায়া, পয়োনিধির নীলাম্বুরাশি সে বিভার অনুকারী, নবদূর্ব্বাদলশ্যাম সে রূপের নমুনা মাত্র-পত্র-পল্লব, ব্রততী-বাঙ্গরী, সে শুঠামরূপ লইয়া লোফালুফি করিতেছে। ধূম্রগিরিরাজ-মেখলা সে শুষ্কামরূপের স্থির ধীর বিকাশ। এমন কালোরূপের আদর কর না? জাগিয়াছ যখন, তখন নীল নয়নে এমন নিত্য নীলবরণকে নয়ন ভরিয়া দেখ না কেন, জাগিয়াছ যখন, তখন এমন শুমরূপের সাকারী ও সাবয়ব বিকাশ শুমাঙ্গী যমুনা ভগিনীকে সম্মুখে বসাইয়া তাহারই হাতে সোহাগের বিজয়টীকা গ্রহণ কর না, তোমাদের কাননকুন্তল দেশের, তোমার গগনপবনের, তোমার নদনদীর, তোমার আকাশ ও সাগরের চিরস্থায়ী শুঠাম শোভাকে নিঙড়াইয়া, তাহাকে ভগিনীরূপে সম্মুখে বসাইয়া, তাহার ফুল্লারবিন্দ হাসিমুখের ফোটাটি গ্রহণ কর না, এতকাল পরঘরী, পরদ্বারী ছিলে—এত কাল মোহনিদ্রায় অভিভূত থাকিয়া স্বপ্লঘোরে। কেবল শ্বেত ও লোহিতের বাহার দেখিতেছিলো, নিজের শ্যাম চর্ম্ম ছিাড়িয়া তুলিয়া শাদার দলে মিশিতে চাহিতেছিলো; তোমার শুমা-মায়ের কোলে যখন জাগিয়াছ, মায়ের শুষ্ঠাম-শোভা যখন প্রাণ ভরিয়া দেখিয়াছ, তখন শ্যামাঙ্গ ভাইদের হাত ধরিয়া শুষ্ঠামা-মায়ের সম্মুখে দাড়াইয়া শুষ্ঠামাঙ্গীর এবং শুমলীলাবিলাসিনী ভগিনী কালিন্দীর হাতের ফোটাটা আজ হেঁট মুণ্ডে গ্রহণ করা না, যে মরণ ভয়ে আজ আকুল হইয়া উঠিয়াছ, সে মরণভয় তোমার আর থাকিবে না। যে যম—মৃত্যু-বিশ্বতির ভীষণ বদন ব্যাদান করিয়া একে একে তোমার অতীতের কত গৌরবের, ক'ত স্পৰ্দ্ধার বৈশিষ্ট্য-তোমার বংশের ধারা, জাতির ধারা, ধর্ম্মের ধারা,