NVr মধুসূদনের কাব্যানুরক্তি করিয়া গিয়াছেন তাহা শিষ্টাচারের জন্য নয়; তাহা প্রকৃতই তাহার। আন্তরিক শ্রদ্ধার ও অনুরাগের ফল। . রামায়ণ ও মহাভারত পাঠের সহিত মধুসূদনের ভবিষ্যৎ জীবনের অতি ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ বর্তমান আছে। যে মহাগ্রস্থাৰয়, শত শত বৎসর অবধি, হিন্দু নরনারীদিগকে “* অনুপ্রাণিত করিয়া আসিতেছে এবং সহস্ৰ সহস্র ভারতসন্তান যাহা হইতে আপন আপন ভাবী মহত্বের বীজ প্রাপ্ত হইতেছেন, তাহা মধুসূদনেরও প্রকৃতিদত্ত প্রতিভাকে অনুপ্রাণিত করিয়াছিল। বাল্যে পুনঃ পুনঃ রামায়ণ ও মহাভারত পাঠ করিয়া তিনি তাহার কবিশক্তিবিকাশের সহায়তা লাভ করিয়াছিলেন। তাহার ন্যায় আরও কত ভারতীয় কবি যে এরূপ সহায়তা প্রাপ্ত হইতেছেন, তাহার সংখ্যা নাই। লোকের বিশ্বাস, কল্পতরুর নিকট প্রার্থনা করিলে অভীষ্ট বর প্রাপ্ত হওয়া যায়। রামায়ণ ও মহাভারত হিন্দুসন্তানের পক্ষে সেই কল্পতরু। আমাদিগের জাতীয় জীবন গঠনের পক্ষে এই দুই গ্রন্থ যেরূপ সহায়তা করিয়াছে, ইলিয়দ ভিন্ন আর কোন কাব্য সেরূপ করিয়াছে কি না সন্দেহ। কত অনুতপ্ত হৃদয় ইহা হইতে শাস্তিলাভ করিতেছে; কত শোকজীর্ণ প্রাণ ইহা হইতে সান্তুনা প্রাপ্ত হইতেছে; কত স্বদেশবৎসল ইহা হইতে বীরত্ব ও স্বদেশপ্রেম শিক্ষা করিতেছেন; এবং কত ভাবুক পুরুষ ইহা হইতে কবিশক্তি পরিপোষণের সহায়তা প্রাপ্ত হইতেছেন। রাজা পরীক্ষিত ইহা হইতে ঘোর অনুতাপ-যন্ত্রণায় মুক্তি পাইয়াছিলেন; শিবাজী৷ ইহা হইতে স্বদেশপ্রেম শিক্ষা করিয়াছিলেন; তুলসীদাস ইহা হইতে ধর্ম্ম-জীবন লাভ করিয়াছিলেন; এবং সেই