S Go মধুসূদনের কাব্যানুরক্তি করিয়াছিলেন, এবং সমবয়সীদিগকে তাহ আবৃত্তি করিয়া শুনাইতেন। হিন্দু-কলেজে অধ্যয়নের সময়েও তিনি পারসী “গজল” গান করিয়া সঙ্গীদিগকে আমোদিত করিতেন। মধুসূদনের কাব্যানুরক্তির অপর একটী কারণ র্তাহার সঙ্গীতপ্রিয়তা। বাল্য হইতে, কবিতার ন্যায়, গীতবান্তেরও দিকে তাহার थशip ख्वश्रद्धांश छिल। ऊँांश्ांद्र निडांब्र ७ পিতৃব্যগণের ন্যায় তিনিও আগমনী, বিজয়াসঙ্গীত শুনিতে শুনিতে গলদশ্রণ হইতেন। অবস্থার কোনও রূপ পরিবর্তনে তাহার সঙ্গীতানুরাগের হ্রাস হয় নাই। তঁাহার, ব্যারিষ্টার হইয়া, ইংলণ্ড হইতে প্রত্যাগমনের পর, কোন ব্রাহ্মণ, একবার তঁহার নিকট, একটী মোকদ্দমা সম্বন্ধে পরামর্শ জানিবার জন্য গিয়াছিলেন। মধুসূদনের সঙ্গে ব্রাহ্মণের পূর্ব-পরিচয় ছিল এবং তিনি জানিতেন যে, ব্রাহ্মণ অতি সুন্দর “সখীসম্বাদ” গান করিতে পারেন। মধুসুদন মোকদ্দমার কথা রাখিয়া, সখীসম্বাদ শুনিবার জন্য, ব্রাহ্মণীকে পীড়াপীড়ি আরম্ভ করিলেন, এবং তঁাহার নিকট ক্রমান্বয়ে, দশ পনরটী সখীসম্বাদ শুনিয়া, বিনা অর্থগ্রহণে, তাহার মোকদম-সম্বন্ধে উপযুক্ত পরামর্শ দান করিলেন। মধুসূদনের সাহিত্যিক জীবন বুঝিতে হইলে তাহার শৈশব সম্বন্ধীয় যে সকল বিষয়ের উল্লেখ আবশ্যক, আমরা, একে একে, তাহার আলোচনা করিয়াছি। তাহার “স্ব" পিতামাতার কাব্যানুরাগ, তাহার শিক্ষকের কবিতাপ্রিয়তা এবং সেই সঙ্গে তাহার নিজের রামায়ণ ও মহাভারত পাঠে এবং সঙ্গীত-শ্রবণে প্রগাঢ় আসক্তি ইত্যাদি যে সকল উপাদানে তাহার ভবিষ্যৎ জীবন গঠিত হইয়াছিল, আমরা, ক্রমে ক্রমে, সঙ্গীত-প্রিয়তা।