বঙ্গী-সাহিত্যের ভবিষ্যৎ 312 ইউরোপেও যে এত আদর, তাহার কারণ কি? পরাধীন ভারতের প্রাচীনতম ভাষার প্রভাব স্বাধীন পাশ্চাত্য জগতে যে ভাবে বিস্তার লাভ করিতেছে, তাহাতে মনে হয়, কালে এমন এক দিন আসিৱে, -ষখন, পশ্চিমের প্রত্যেক বিজ্ঞ অভিজ্ঞ ব্যক্তিই কোন না কোন বিষয়ে সম্পূর্ণতা লাভের জন্য সংস্কৃত ভাষার অনুশীলন করিবেন। কবে, কোন দিন, কত শত সহস্ৰ বৎসর পূর্বে, তমসার তীরে “বসিয়া, ক্রৌঞ্চমিথুনের কবি, তাহার। তপঃসিদ্ধ বীণায় ঝঙ্কার দিয়া গিয়াছেন, আর আজও ঐ দেখ, সকল দেশের সুপণ্ডিত * ব্যক্তিই সেই ঝঙ্কার শুনিবার জন্য কান পাতিয়া আছেন। বাল্মীকির রামায়ণ বা ব্যাসের মহাভারত, ভারতের অপৌরুষেয় বেদ-সংহিতা প্রভূতি সংস্কৃত ভাষায় উপনিবদ্ধ বলিয়া সকল দেশের জ্ঞানপিপাসুই এই ভাষায় আস্থাসম্পন্ন। মহাকবি কালিদাস, শিপ্রাতািট বসিয়া যে মোহন বংশীধ্বনিতে ভারতবর্ষ উদভ্রান্ত, • একেবারে তন্ময় করিয়া গিয়াছেন, আজও সে বঁাশারী-বাঙ্কারের যেন বিরাম হয় নাই; ঐ দেখুন, ইউরোপের মেধাবী সন্তানগণ, ঐ মনােজ্ঞ সঙ্গীতের রসাস্বাদের আশায়, সংস্কৃত ভাষার অনুশীলন করিতেছেন। এদেশীয় শকুন্তল-নাটকের বিদেশীয়-কৃত অনুবাদের অনুবাদ পড়িয়াও সুকবি গেটে আত্মহারা হইয়াছিলেন। জগতের অন্যতম প্রধান চিন্তাশীল প্লেটো, ইউক্লিড, পিথাগোরাস, এরিষ্টটল। প্রভৃতির মনীষাসাগরোখিত রত্নমালা কণ্ঠে ধারণপূর্বক গ্রীক ভাষা এই মরধামে অমরতলাভ করিয়াছে। রাজনৈতিক আধিপত্যে উল্লিখিত ভাষাসমূহ অকিঞ্চিৎকর হইলেও জ্ঞানের আধিপত্যে, সম্পদের আধিপত্যে ঐ ঐ ভাষা জগতের শিক্ষিত সমাজের “উপর অপ্রতিহত প্রভাববিস্তার করিয়া রাখিয়াছে। পৃথিবীর