বঙ্গসাহিত্যে বিজ্ঞান YS কুকুর, ইহাদের সম্বন্ধে কি আমাদের জানিবার কিছুই বাকী নাই? এদেশের সোদাল, বেল, বাবলা ও শ্যে ওড়ার কাহিনী শুধু কি ইউরোপীয় লেখকদিগের কেতাব পড়িয়াই আমাদিগকে শিখিতে হইবে? এদেশের ভিন্ন ভিন্ন কৃষিপ্রণালী, প্রাচীন ভিন্ন ভিন্ন ক্রীড়াপদ্ধতি এসবের ভিতরে কি আমাদের জ্ঞাতব্য কিছুই থাকিতে পারে না?? রসায়ন, পদার্থবিদ্যাদি শাস্ত্র সম্বন্ধে যাহাই হউক না কেন, প্রাণিতত্ত্ব, উদ্ভিদবিদ্যা এবং ভূতত্ত্ববিদ্যার মৌলিক গবেষণা যে বিরাট যন্ত্রাগারের অভাবে কতক দূর চলিতে পারে তাহা সকলেই স্বীকার করিবেন। ছুরি, কঁচি, অণুবীক্ষণ ইত্যাদি সরঞ্জাম কিনিতে ১০.০১ টাকার অধিক মূল্য লাগে না; কিন্তু গোড়ীতেই গলদ, জ্ঞানের পুণ্যপিপাসা কোথায়? এদেশের প্রকৃতি-বিদ্যাথী যুবক দেখিয়াছেন, এখন একবার ইউরোপের প্রকৃতি-বিদ্যার্থী যুবকের কথা শুনুন। বিদ্যাবিষয়ক উপকরণ আহরণের জন্য জ্ঞানপিপাসু ইউরোপীয় যুবক আফ্রিকার নিবিড় শ্বাপদসঙ্কুল অরণ্যে প্রাণ হাতে করিয়া ভ্রমণ করিয়া বেড়ান, বৈজ্ঞানিক তথ্যসমূহের অনুসন্ধানের নিমিত্ত আহার নিদ্রা ভুলিয়া কার্য্য করিতে থাকেন। ভোগলালস তখন তাহাদিগকে বিচলিত করিতে সমর্থ হয় না। জ্ঞানপিপাসা৷ তঁহাদের হৃদয়ের একমাত্র আসক্তি। আপনারা অনেকেই জানেন, উদ্ভিদনিচয় আহরণের জন্য সার জোসেফ হুকার ১৮৪৫ খৃঃ অঃ কত বিপদ আলিঙ্গন করিয়া হিমালয় পর্ব্বতের বহু উচ্চাদেশ পর্য্যন্ত আরোহণ করিয়াছিলেন। সে সময়ে দার্জিলিং-হিমালয় - রেলপথ হয় নাই। কাজেই তখন হিমাচলারোহণ এখনকার