সিদ্ধিদাতা গণেশ Հo Գ সে দিবসটাই সুখে কাটে এবং সে দিবসের কার্য্যও সফল হয়। এ বিশ্বাস যুক্তিমূলক কি না, এস্থলে বিচার করিবার আবশ্যকতা नाशे। এখানে একটী কথার উল্লেখ করিলেই চলিবে। যাহাদের দর্শন লোকে সুফলপ্রদ বলিয়া বিশ্বাস করে, তাহাদিগকে প্রকৃতপক্ষে ধীর ও শাস্ত স্বভাব দেখা যায়। অন্ততঃ এমন কথা বলা যাইতে পারে যে, যাহাদিগকে দেখা লোকে মঙ্গলকর বলিয়া বুঝিয়া থাকে, তাহদের আকারে উগ্রতা, ঔদ্ধত্য বা চপলতা লক্ষিত হয় না। ধীরতা, সংযম ও শান্তি যাহার মূর্ত্তিতে ব্যক্ত, সে স্ত্রী হউক বা পুরুষ হউক লোকে কেবল তাহারই দর্শনের সহিত সিদ্ধির প্রত্যাশা সংযুক্ত করিয়া থাকে। লোকের যেরূপ বিশ্বাস, পৌরাণিক পণ্ডিতের শিক্ষাও সেইরূপ। সে শিক্ষা সিদ্ধিদাতা গণেশের মুক্তিতে পরিস্ফুট। গণেশমূর্ত্তি চঞ্চলতা, চপলতা, উগ্রতা, ঔদ্ধত্য, ব্যগ্রতা, হঠকারিতা বা অস্থিরতার মূর্ত্তি নয়! সে মূর্ত্তি স্থৈর্য্য, ধৈর্য্য, গাম্ভীর্য্য, সংযম, সতর্কতা ও চিন্তাশীলতার মূর্ত্তি। গণেশকে দেখিলে চালাক চটপটে বা ব্যস্তত্রস্ত বলিয়া মনে হয় না। আজ কাল লোকে সচরাচর যে সকল গুণ কার্য্য-সিদ্ধির নিমিত্ত আবশ্যক মনে করে, গণেশমূর্ত্তিতে সে সকল গুণ ব্যক্ত নয়। আজিকার ইউরোপে এবং ইউরোপের দেখাদেখি নব্য বঙ্গে লোকের এইরূপও ধারণা যে, হুটাপুট, লাফালাফি, দৌড়াদৌড়ি, তাড়াতাড়ি, হুড়াহুড়ি, চটকচালাকী ব্যতীত কার্য্যে সিদ্ধিলাভ অসম্ভব। কিন্তু সে রকম