পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

文88 লক্ষণ। শাবককে ব্যাস্ত্রী যেরূপ রক্ষা করে, রাম কনিষ্ঠকে সেইরূপ আগুলিয়া; বসিয়া আছেন,-রাবণের অসংখ্য শার রামের পৃষ্ঠদেশ ছিন্ন ভিন্ন করিতেছিল, সেদিকে দৃকপাত না করিয়া রাম লক্ষ্মণের প্রতি সজল। চক্ষু ন্যস্ত করিয়া তাহাকে রক্ষা করিতেছিলেন। বানর সৈন্য লক্ষ্মণের রক্ষাভার গ্রহণ করিলে তিনি যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইলেন, এবং রাবণ পৃষ্ঠভঙ্গ দিয়া চলিয়া গেলে মৃতকল্প ভ্রাতাকে অতি সুকোমল ভাবে আলিঙ্গন করিয়া রাম বলিলেন—“তুমি যেরূপ আমাকে বনে অনুগমন করিয়াছিলে, আজ আমিও তেমনি তোমাকে যমালয়ে অনুগমন করিব, তোমাকে ছাড়িয়া আমি বঁাচিতে পারিব না। সীতার মত স্ত্রী খুজিলে অনেক পাওয়া যাইতে পারে, কিন্তু তোমার মত ভাই, মন্ত্রী ও সহায় পাওয়া যাইবে না। দেশে দেশে স্ত্রী ও বন্ধু পাওয়া যাইতে পারে, কিন্তু এমন দেশ দেখিতে পাই না, যেখানে তোমার মত ভাই জুটিবে। এখন উঠ, নয়ন উন্মীলন. করিয়া আমায় একবার দেখা; আমি পর্ব্বতে বা বন-মধ্যে শোকার্ত, প্রমত্ত বা বিষঃ হইলে, তুমিই প্রবোধবাক্যে আমায় সান্তুনা দিতে, এখন কেন এইরূপ নীরব হইয়া আছ?” রামের আজ্ঞাপালনে লক্ষ্মণ কোন কালে দ্বিরুক্তি করেন নাই, ন্যায়সঙ্গত হউক বা না হউক, লক্ষ্মণ সর্বদা মৌনভাবে তাহ পালন করিয়াছেন। রাম সীতাকে বিপুল সৈন্যসজেঘর মধ্য দিয়া শিবিকা ত্যাগ করিয়া পদব্রজে আসিতে আজ্ঞা করিলেন। শত শত দৃষ্টির গোচরীভূত হইয়া সীতা লজ্জায় যেন মরিয়া যাইতেছিলেন, শ্রীড়াময়ীর সর্বাঙ্গ কম্পিত হইতেছিল। লক্ষ্মণ এই দৃশ্য দেখিয়া ব্যথিত হইলেন, কিন্তু রামের কার্য্যের প্রতিবাদ করিলেন না। যখন সীতা অগ্নিতে প্রাণবিসর্জন দিতে কৃতসংকল্প হইয়া লক্ষ্মণকে চিতা,