পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-SGS areas রাজ্যে পুনরধিষ্ঠিত হইয়া আমাকে স্মরণ রাখিবেন।” এই কথায় বিলাপের ছন্দ নাই। ইহাতে রামের প্রতি অসীম শ্রীতি ও স্বীয় আত্মোৎসর্গের অতুল্য ধৈর্য্য সুচিত হইয়াছে। ক্ষত্রতেজের এই জ্বলন্ত মূর্ত্তি, এই মৌন ভ্রাতৃভক্তির আদর্শ “ভারতে চিরদিন পূজা পাইয়া আসিয়াছেন। “রাম-সীতা” এই কথা অপেক্ষাও বোধ হয় “রাম-লক্ষ্মণ” এই কথা এতদেশে বেশী পরিচিত। সৌভ্রাত্রের কথা মনে হইলে “লক্ষ্মণ” অপেক্ষা প্রশংসাৰ্ছ উপমা আমরা কল্পনা করিতে পারি না। ভরত ভ্রাতৃভক্তির পলান্ন-সুকোমল ভাবের সমৃদ্ধ উদাহরণ। কিন্তু লক্ষ্মণ ভ্রাতৃভক্তির অন্নব্যঞ্জন, জীবিকার সংস্থান। আজ আমরা স্বেচ্ছায় আমাদের গৃহগুলিকে লক্ষ্মণ-শূন্য করিতেছি। আজ বহুস্থানে সহধর্ম্মিণীর স্থলে স্বার্থরূপিণী, অলঙ্কারপেটিকার যক্ষীগণ আমাদিগকে ঘিরিয়া গৃহে একাধিপত্য স্থাপন করিতেছে; যাহারা এক উদরে স্থান পাইয়াছিলেন, তাহারা আজ এক গৃহে স্থান পাইতেছেন না! হায়, কি দৈববিড়ম্বনা, যাহাদিগকে বিশ্বনিয়ন্তা মাতৃগর্ভ হইতে পরম সুহৃদরূপে গড়িয়া দিয়া আমাদিগকে প্রকৃত সৌহার্দ শিখাইবেন, তাহাদিগকে বিদায় দিয়া পঞ্জাব ও পুণা হইতে আমরা সুহৃৎ সংগ্রহ করিব, এ কথা কি বিশ্বাস্ত? আজ আমাদের রাম বনবাসী, লক্ষ্মণ প্রাসাদশীর্ষ হইতে সেই দৃশ্য উপভোগ করেন; আজ লক্ষ্মণের অন্ন জুটিতেছে না, রাম স্বর্ণ থালে উপাদেয় আহার করিতেছেন। আজ আমাদের কষ্ট, দৈন্য, বনবাসের দুঃখ সমস্তই দ্বিগুণতর পীড়াদায়ক,-লক্ষ্মণগণকে আমাদের দুঃখের সহায় ও চিরসঙ্গী মনে ভাবিতে ভুলিয়া যাইতেছি। হে ভ্রাতৃবৎসল, মহর্ষি বাল্মীকি তোমাকে আঁকিয়া গিয়াছেন-চিত্র হিসাবে নহে; হিন্দুর