Robolo &ীকান্তের নিশীথ অভিযান সে মুখে একবার বলিল, “ভয় নাই।” কিন্তু গলাটা তাহার যেন কঁপিয়া গেল। কিন্তু সে থামিল না। প্রাণপণে লাগি ঠেলিয়া ক্রমাগত ভিতরে লুকাইবার চেষ্টা করিতে লাগিল। সমস্ত চড়াটা জলে জলময়। তাহারই উপর ৮, ১০ হাত দীর্ঘ ভুট্টা এবং জনারের গাছ। ভিতরে এই দুটী চোর। কোথাও জল একবুক, কোথাও এককোমর, কোথাও হাটুর অধিক নয়। উপরে নিবিড় অন্ধকার, সম্মুখে পশ্চাতে দক্ষিণে বামে দুর্ভেদ্য জঙ্গল। পাকে লাগি পুতিয়া যাইতে লাগিল, নৌকা আর এক হাতও অগ্রসর হয় না। পিছন হইতে জেলেদের অস্পষ্ট কথাবার্তা কানে আসিতে লাগিল। কিছু একটা সন্দেহ করিয়াই যে তাহারা আসিয়াছে এবং তখনও খুজিয়া ফিরিতেছে, তাহাতে লেশমাত্র সংশয় নাই। সহসা নৌকাটা একটু কান্ত হইয়াই সোজা হইল। চাহিয়া দেখি, আমি একাকী বসিয়া আছি, দ্বিতীয় ব্যক্তি নাই। সভয়ে ডাকিলাম, “ইন্দ্র!” হাত পাঁচ ছয় দূরে বনের মধ্য হইতে সাড়া আসিল, “আমি নীচে।” “নীচে কেন?” “ডিঙি টেনে বার করতে হবে। আমার কোমরে দড়ি বাধা VN ** “টেনে কোথায় বার করবে?” “ও গঙ্গায়। খানিকটা যেতে পারলেই বড় গাঙে পড়বা।” শুনিয়া চুপ করিয়া গেলাম। ক্রমশঃ ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতে লাগিলাম। অকস্মাৎ কিছুদূরে বনের মধ্যে ক্যানেন্ত্রা পিটানো ও চেন্না-বাঁশের কটকটু শব্দে চমকাইয়া উঠিলাম। সািভয়ে জিজ্ঞাসা