অশ্রািজল জীবনের-সুখ দুঃখের স্মৃতিতে মুখ লুকাইয়া একবারও কঁাদে নাই, সংসারে এরূপ লোক দেখা যায় না। সকল মানুষ্যেরই হৃদয়তন্ত্রীতে এক একটী সুর কেমন লাগিয়া থাকে, সেই সুরে যেদিন আঘাত পড়ে সেইদিন সহসা যেন তাহার জীবনে কি পরিবর্তন সাধিত হয়, তাহার হৃদয়ের মর্ম্মে মর্ম্মে কি যেন তড়িৎস্রোত ছুটিয়া বেড়ায়; আপনাকে কোথায় যেন ধরিতে পাইয়া সে একবার পশ্চাতে ফিরিয়া দেখে, তাহার নয়ন বাহিয়া অশ্রািজল ঝরিতে থাকে। কিন্তু কোনখানে কবে কি আঘাত লাগিয়া তাহার হৃদয় চঞ্চল হইয়া উঠে, সে কি তাহা বুঝিতে পারে? সে আপনার মনে কাদিয়া যায়-না কাদিয়া সে থাকিতে পারে নাকিন্তু তাহার সেই হৃদয়মখিত অশ্রুবিন্দুতে কত দিনের হয়ত গভীর সুখ-দুঃখের স্থতি আছে, সে তাহ জানেও না। প্রথম উচ্ছাস যখন সংযত হইয়া আসে, তখন যদি সে ভাবিয়া দেখে, তবে হয়ত দেখিতে পায়, বিন্দুর মধ্যে হারাইয়া যাওয়া যায় এমন কিছু আছে-সেখানে সকলই শূন্য নহে। অশ্রািজল তা আর কিছু নহে, হৃদয়ের নীরব ভাষা। হৃদয় উথলিয়া উঠিয়া আপনাতে আর থাকিতে পারে না, বাহির হইয়া পড়ে। সুতরাং অশ্রুবিন্দুর মধ্যে হৃদয় কতখানি লুকাইয়া আছে বলিতে হইবে না। কিন্তু হৃদয়ের এই অশ্রাভাষায় কি ভাব ব্যক্তি হয়? হৃদয়ের ভাষা ত আরও আছে। নৈরাশ্যের বিজন কাননে