Robo কাব্যের উপেক্ষিতা আসিলেন তখন একদিন প্রভাতকালে তাহার গৃহে কৈলাস নামে এক কন্ধুকী প্রবেশ করিল—তাহার পশ্চাতে, একটি কন্যা, অনতিযৌবনা, মস্তকে ইন্দ্রগোপ কীটের মত রক্তাম্বরে অবগুণ্ঠন, ললাটে চন্দন-তিলক, কটিতে হেমমেখলা, কোমলতনুলতার প্রত্যেক রেখাটি যেন সন্ত নূতন অঙ্কিত -এই তরুণী লাবণ্যপ্রভাপ্রভাবে ভবন পূর্ণ করিয়া কণিতমণিনুপুরাকলিত চরণে কাণ্ডুকীর অনুগমন कव्लि। কধুকী প্রণাম করিয়া ক্ষিতিতলে দক্ষিণ কর রাখিয়া জ্ঞাপন করিল-“কুমার, আপনার মাতা মহাদেবী বিলাসবতী জানাইতেছেন-এই কন্যা পরাজিত কুলুতেশ্বরের দুহিতা, বন্দিনী, ইহার নাম পত্রলেখা! এই অনাথ রাজদুহিতাকে আমি দুহিতানির্বিশেষে এতকাল পালন করিয়াছি। এক্ষণে ইহাকে তোমার তাম্বুলকরাঙ্কবাহিনী করিয়া প্রেরণ করিলাম। ইহাকে সামান্য পরিজনের মত দেখিয়ে না, বালিকার মত লালন করিয়া নিজের চিত্তবৃত্তির মত চাপল্য হইতে নিবারণ করিয়ো, শিষ্যার ন্যায় দেখিও, সুহৃদের ন্যায় সমস্ত বিশ্রম্ভব্যাপারে। ইহাকে অভ্যন্তরে লাইয়ো, এবং এই কল্যাণীকে এমত সকল কার্য্যে নিযুক্ত করিয়ো যাহাতে এ তোমার অতিথির পরিচারিকা হইতে পারে ” কৈলাস এই কথা বলিতেই পত্রলেখা তাহাকে অভিজাতপ্রণাম করিল এবং চন্দ্রাপীড় তাহাকে অনিমেষলোচনে সুচিরকাল নিরীক্ষণ করিয়া “অম্বা যেমন আজ্ঞা করিলেন তাহাই হইবে।” বলিয়া দূতকে বিদায় করিয়া দিলেন। পত্রলেখা পত্নী নহে, প্রণয়িনীও নহে, কিঙ্করীও নহে, পুরুষের সহচরী। এই প্রকার অপরূপ সখীত্ব দুই সমুদ্রের মধ্যবর্ত্তী একটি