আগ্নেয় fif (©o ዓ বৈদ্যুতী শক্তির প্রভাবে, ঐ দিকে ঝটিতি আকৃষ্ট হইল। তাহারা চমকিয়া উঠিলেন। জন কি? নির্বাসিত সীতার পিতা জনক? ধনুর্ভঙ্গপণ-পূর্বক রামের হস্তে সীতার সম্প্রদান-কীর্ত্তা জনক? মিথিলার অধীশ্বর, পুণ্যশ্লোক, দুহিতৃ-গতি-সদয় জনক? তিনি এখানে? এ না বাল্মীকির আশ্রম? এই আশ্রমের সন্নিধানেই না ভ্রাতৃভক্ত লক্ষ্মণ, জ্যেষ্ঠের আদেশে, অযোধ্যার মূর্ত্তিমতী কমলাক ফেলিয়া গিয়াছিলেন? এই আশ্রমেই না ভগবতী জাহাৰী, সীতাকুমারদিগকে বাল্মীকির করে সঁপিয়া গিয়াছিলেন? এই আশ্রমেই না ভগবান বশিষ্ঠ, কৌশল্যা সুমিত্রা প্রভৃতির সহিত, কয়েক দিন হইল, আসিয়া বাস করিতেছেন? এই আশ্রমেই আবার আজ জনক ও আসিলেন? ব্যাপার কি? একি বাস্তবিক ঘটনা, না কোন অলীক কল্পনার পরিণাম—স্বপ্ন? এতাদৃশ বিচিত্র সমবায়ের কি কোন কারণ আছে? না ইহা কাকতালীয়?—এইরূপ নানা আন্দলোনে দর্শকগণের হৃদয় আলোড়িত হইতে লাগিল। তাহারা ভূতাবিষ্টের ন্যায়, বিকারগ্রস্তের ন্যায় তীব্রনয়নে ঐ দিকে চাহিয়া রহিলেন। বালকের কথায় অপর একজন বলিল, “জান না? মহর্ষি জনক যে অনেক দিন আমিষ ত্যাগ করিয়াছেন, যেদিন দুহিতা সীতার তাদৃশ্য দৈবদুর্ব্বিপাক শ্রবণ করেন, সেইদিন হইতেই দুহিত্যুবৎসল রাজর্ষি বানপ্রস্থ হইয়াছেন। বিশাল সাম্রাজ্য, অতুল বিভব, সব ত্যাগ করিয়া, গত দ্বাদশ বৎসর যাবৎ তিনি চন্দ্রদ্বীপ-তপোবনে তপস্যায় নিরত ছিলেন। মহর্ষি বাল্মীকি র্তাহার চিরন্তন সুহৃদ, তাই অ’, জে একবার তঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিয়াছেন। জনকের আগমন-বার্ত্তা শুনিয়া কুলগুরু বশিষ্ঠ ভগবতী অরুন্ধতীয় মুখে কৌশল্যাদেবীকে বলিয়া পাঠাইয়াছেন যে, মা, তুমি নিজে যাইয়া সর্বাগ্রে মিথিলেশ্বরের