“Ve চন্দ্রাপীড়ের দেহত্যাগ জিজ্ঞাসিলেন। তরলিকা কিছু বলিতে পারিল না, কেবল দীন নয়নে মহাশ্বেতার মুখ পানে চাহিয়া রহিল। মহাশ্বেত বসনাঞ্চলে নেত্রজল মোচন করিয়া কাতরস্বরে কহিলেন, মহাভাগ! যে নিষ্করুণা ও নির্লজ্জা পূর্বে আপনাকে দারুণ শোকবৃত্তান্ত শ্রবণ করাইয়াছিল, সেই পাপীয়সী এক্ষণেও এক অপূৰ্ব ঘটনা শ্রবণ করাইতে প্রস্তুত আছে। একদা আশ্রমে বসিয়া আছি। এমন সময়ে, রাজকুমারের সমবয়স্ক ও সদৃশাকৃতি সুকুমার এক ব্রাহ্মণকুমারকে দূর হইতে দেখিলাম। তিনি এরূপ অন্যমনস্ক যে তাহার আকার দেখিয়া বোধ হইল যেন, কোন প্রণষ্ট বস্তুর অন্বেষণ করিতে করিতে এই দিকে আসিতে-ছেন। ক্রমে নিকটবর্ত্তী হইয়া আমাকে পরিচিতের ন্যায় জ্ঞান করিয়া, নিমেষশূন্য নয়নে অনেকক্ষণ আমার প্রতি দৃষ্টিপাত করিয়া রহিলেন। অনন্তর মৃদুস্বরে বলিলেন, সুন্দরি! এই ভূমণ্ডলে বয়স ও আকৃতির অবিসংবাদী কর্ম্ম করিয়া কেহ নিন্দাম্পদ হয় না। কিন্তু তুমি তাহার বিপরীত কর্ম্ম করিতেছ। এ সময় তোমার তপস্যার সময় নয়। দেব পুণ্ডরীকের সেই দারুণ ঘটনাবধি আমি সকল বিষয়েই নিরুৎসুক ছিলাম। ব্রাহ্মণকুমারের কথা অগ্নিশিখার ন্যায় আমার -গাত্র দাহ করিতে লাগিল। তাহার কথা সমাপ্তি না হইতেই বিরক্ত হইয়া তথা হইতে উঠিয়া গেলাম। দেবতাদিগের অৰ্চনার নিমিত্ত কুসুম তুলিতে লাগিলাম। তথা হইতে তরলিকাকে ডাকিয়া কহি-1 লাম, উহাকে বারণ কর, যেন আর এখানে না আইসে। যদি আইসে ভাল হইবে না। তরলিকা ভয়প্রদৰ্শন ও তর্জন গর্জন পূর্বক বারণ করিয়া কহিল, তুমি এখান হইতে চলিয়া