“VR চন্দ্রাপীড়ের দেহত্যাগ সহিত মিলিত হইয়া যাইত। মনুষ্যদেহ আশ্রয় করিয়াছিস, কিন্তু তোকে তির্য্যগজাতির ন্যায় যথেচ্ছাচারী দেখিতেছি। তোর হিতাহিত জ্ঞান ও কার্য্যাকার্য্যবিবেক কিছুই নাই। তুই একান্ত তির্য্যন্ধর্ম্মােক্রান্ত, তির্য্যগুজাতিতেই তাের পতন হওয়া উচিত। ‘অনন্তর সর্বসাক্ষীভূত ভগবান চন্দ্রমার প্রতি নেত্রপাত করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলাম, ভগবান! সর্ব্বসাক্ষিন! যদি আমার অন্তঃকরণ পবিত্র ও নিষ্কলঙ্ক; হয়, তাহা হইলে, আমার বচন সত্য হউক অর্থাৎ তির্য্যগুজাতিতে এই পাপিষ্ঠের পতন হউক। আমার কথার অবসানে, জানি না, কি আত্মদুষ্কর্ম্মের দুর্ব্বিপাকবশতঃ, কি আমার পাপের সামর্থ্যে সেই ব্রাহ্মণকুমার অচেতন হইয়া ছিন্নমূল তরুর পৃষ্ঠায় ভূতলে পতিত হইল। তাহার সঙ্গিগণ কাতর স্বরে হা হতোহস্মি ৷ বলিয়া শব্দ করিয়া উঠিল। তাহদের মুখে শুনিলাম। তিনি আপনার মিত্র। এই বলিয়া লজ্জায় অধোমুখী হইয়া মহাশ্বেতা রোদন করিতে লাগিলেন। চন্দ্রপীড় নয়ন নিমীলনপূর্বক মহাশ্বেতার কথা শুনিতেছিলেন; কথা সমাপ্ত হইলে কহিলেন, ভগবাতি! এ জন্মে। কাদম্বরীসমাগম “ভাগ্যে ঘটিয়া উঠিল না। জন্মান্তরে যাহাতে সেই প্রফুল্প মুখারবিন্দ দেখিতে পাই এরূপ যত্ন করিও। বলিতে বলিতে তাহার হৃদয় বিদীর্ণ হইল। যেমন শিলাতল হইতে ভূতলে পড়িতেছিলেন, অমনি তরলিকা মহাশ্বেতাকে ছাড়িয়া শশব্যান্তে হস্ত বাড়াইয়া ধরিল এবং কাতর স্বরে কহিল, ভর্তুদারিকে। দেখ দেখ কি সর্ব্বনাশ উপস্থিত। চন্দ্রাপীড় চৈতন্য শুন্য হইয়াছেন। মৃত দেহের ন্যায় গ্রীবা ভগ্ন হইয়া পড়িতেছে। নেত্র নিমীলিত হইয়াছে। নিশ্বাস বহিতেছে না। জীবনের কোন লক্ষণ নাই। একি