औदन স্মৃতি। SS) কবিতা শুনিয়া সণ্ডার্স সন্তষ্ট হইলেন এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতপূর্ব এসিষ্টাণ্ট রেজিষ্ট্রার রায় ত্রৈলোক্যনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বাহাদুরের সহিত, সার গুরুদাসকে বাহিরে আসিতে অনুমতি দিলেন। ত্রৈলোক্য বাবু তখন প্রেসিডেন্সি কলেজের পুস্তক রক্ষক ছিলেন। সার গুরুদাসের ন্যায় কয়েকজন শ্রেষ্ঠ ছাত্রের জন্য তিনি ছুটির মধ্যেও লাইব্রেরী খুলিতেন। নিকৃষ্ট ছেলেদের আবদার তিনি মোটে সহিতেন না—ফেল-হওয়া ছেলেদের তিনি “ফ-মার্ক” বলিতেন। ১৮৬৫ সালের প্রারম্ভে সার গুরুদাস গণিতশাস্ত্রে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীর শীর্ষস্থানীয় হইয়া স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। সে বৎসর আর ও দুই জন গণিতে এম এ হন—স্বৰ্গীয় অতুলচরণ মল্লিক ( ভবিষ্যতে ইনি ব্যারিষ্টার হইয়া O, C, Mullick নামে পরিচিত হইয়াছিলেন) এবং লক্ষ্মীনারায়ণ দাস। দাস মহাশয় যুগী জাতীয় ছিলেন—পরে তিনি গৌহাটী স্কুলের ( বর্ত্তমান কটন কলেজ ) প্রধান শিক্ষকপদে অধিষ্ঠিত হন। শ্রীঘুক্ত নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় ঐ বৎসর ংস্কৃতে প্রথম হইয়া স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। রাজা প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায় ঐ বৎসর এম-এ উপাধি প্রাপ্ত হন। মাদ্রাসা কলেজের লব্ধপ্রতিষ্ঠ অধ্যক্ষ স্বৰ্গীয় 3“NIts (Blochmann ) MICKS হিব্রহ্মতে এম-এ দিবেন। এই সংবাদ পাইয়া, নীলাম্বর বাবু সংস্কৃত কি গণিত লাইবেন তাহা ঠিক করিতে পারেন নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকেলে ব্যবস্থার ভাষা তাহার মনে এই ভ্রম জন্মাইয়া দিয়াছিল যে, ইংরাজী, গ্রীক, সংস্কৃত, ল্যাটিন প্রভৃতি সমস্ত সাহিত্যে পরীক্ষার্থীদিগের যাহার অধিক নম্বর হইবে, সে স্বর্ণপদক পাইবে। দুই খানা কি তিন খানা হিব্রুদ্ধ পুস্তক পড়িয়া ( ঐ ভাষায় আর ভাল গ্রন্থ নাই ) ব্লকম্যান অতি সহজেই বেশী নম্বর পাইবেন, নীলাম্বরবাবুর এই ভয় ছিল।