(2ኪቻ” জীবন স্মৃতি। আইন-বিরুদ্ধ তাহা নহে; কিন্তু নীতিসঙ্গত নয় বলিয়া সার গুরুদাস কখনও এরূপ মকদ্দমার ভার লন নাই। বহরমপুর বাসের প্রারম্ভে বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে শ্রেয় বনাম প্রেয় এই জটিল প্রশ্নের চুড়ান্ত মীমাংসা করিতে হইয়াছিল। উক্ত প্রকারের এক মকদ্দমায় জনৈক মকেল, অধিক কীর লোভ দেখাইয়া, অনেক বৃথা। ইটাহাটির পর তঁহাকে বলে-আপনি মতিবাবুর মত লাউন, তিনি সন্মতি জ্ঞাপন করিলে আপনাকে ওকালতনামা লইতেই হইবে। মতিবাবু সমস্ত ব্যাপার শুনিয়া সার গুরুদাসকে বলিলেন-আপনি এ মকদ্দমা নেবেন কি ছেড়ে দিবেন। তার শ্রেষ্ঠ বিচারক স্বয়ং আপনি। মোটা ফী পেয়ে সেই টাকায় কি কি সুবিধা হয় তার একটা হিসাব করুন, আর টাকার হাড়কাটে কল্যাণবুদ্ধিকে কোপ মেরে মনের কিরূপ অশান্তি ও অধোগতি হয়, তা”র একটা হিসাব করুন, তার পরে নিজের রাস্তা ঠিক করে নিন। সার গুরুদাস ধর্ম্মের ঋজু, পথই গ্রহণ করিয়াছিলেন। হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠেলিলেন বলিয়া, প্রথমে উক্ত মিকেল অভিমান প্রকাশ করিয়াছিলেন, কিন্তু অল্পদিন পরে তিনি বন্দোপাধ্যায় মহাশয়ের গোড়া হইয়া উঠিয়াছিলেন। দেওয়ান কার্ত্তিকেয়চন্দ্র রায় ও পুণ্যাত্মা রামতনু লাহিড়ীর বন্ধু শ্যামাচরণ ভট্ট এই সময়ে বহরমপুরে ওকালতি করিতেছিলেন। তিনি বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়কে স্নেহের চক্ষে দেখিতেন। যৌবনের প্রারম্ভে শু্যামাচরণ নদীয়া আদালতে সামান্য চাকরি করিতেন। নদীয়ার তৎকালীন কলেক্টর ডি, আই, মানি ( Money ) তাহাকে অত্যন্ত অনুগ্রহ করিতেন। মানি মুর্শিদাবাদের ডিষ্ট্রক্ট জজ হইয়া শু্যামাচরণকে বলিলেন,-তুমি আমার সঙ্গে মুর্শিদাবাদে চল, আমি তোমাকে উকিল করে দোব। তখন ডিষ্ট্ৰক্ট জজদের নিকট সনন্দ