পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১০৫ মুখে এক বাণী – ঠাকুরের কাজ, স্বামিজীর কাজ, প্রাণ দিতে হইলেও কিছুমাত্র পশ্চাদপদ হইব না। পরস্পরের প্রতি এইরূপ ভালবাসা থাকায়, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের এত প্রসারণ হইয়াছিল। ব্রহ্মানন্দের কি অসীম নেতৃত্ব-ক্ষমতা ছিল, ইহাতে তাহারই বিশেষ পরিচয় পাওয়া যায়। স্বামিজীর ও ব্রহ্মানন্দের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদির লক্ষণ ও মনােভাব স্বামিজীর পায়ের তলার সম্মুখটা আর পিছনটা মাটিতে ঠেকিয়া থাকিত, মাঝখানটা মাটিতে ঠেকিত না। ইহাকে ঘােড়। পা বা খড়ম পা’ বলে। ব্রহ্মানন্দের পা ছিল চ্যাপটা, থেবড়া, সমস্ত পায়ের তলাটী মাটিতে পড়িয়া থাকিত। ইহাকে ‘হাতী পা বলে। স্বামিজীর পা ছিল পাতলা, সরু, অপেক্ষাকৃত লম্বা। ব্রহ্মানন্দের পা ছিল মােটা এবং অপেক্ষাকৃত খর্ব্ব। স্বামিজীর ডান পায়ের তলাতে চারিটী শুভ চিহ্ন ছিল; গণৎকার ইহাকে যব, ধান ইত্যাদি কি কি চিহ্ন বলিয়াছিল। ব্রহ্মানন্দের পায়ে ঐরূপ চারিটী শুভ চিহ্ন ছিল না, তবে একটী কি দুইটী চিহ্ন ছিল, সে বিষয় বিশেষ দেখা হয় নাই। স্বামিজীর হাতের আঙুল ছিল সরু, লম্বা এবং অগ্রভাগটা ছুচালযাহাকে ইংরাজীতে Pointed finger বা Tapering finger বলে। ব্রহ্মানন্দের হাতের আঙুল ছিল মােটা, ঈষৎ পরিমাণে খর্ব এবং অগ্রভাগ সামান্যভাবে থেবড়া। স্বামিজীর হাতের নখ ছিল মুক্তার মত উজ্জ্বল, কিঞ্চিৎ রক্তাভ