অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ১৪১ শ্রেণীতে যাইলে নিজ দেহ যেমন এক কেন্দ্র বলিয়া অনুভূত হয়, সর্ব্বদেহও সেইরূপ বিভিন্ন কেন্দ্র বলিয়া প্রত্যক্ষ হয় ; কারণ, সকল দেহই কারণ-স্নায়ু হইতে উৎপন্ন এবং ‘অণু, ‘দ্বাণুক, ‘সরেণু’ ও ‘পরমাণু সর্বত্রই বিদ্যমান। তখন ‘নিজ কেন্দ্র’ ও ‘অপর কেন্দ্র এইরূপ কোন শব্দই থাকে না। সর্বকেন্দ্রই মূল কেন্দ্র - Every point is the centre, nowhere is the centre. ইহা হইল সূক্ষ্ম-শরীরের কথা, স্কুল-শরীরের কথা নয়। এইজন্য, উচ্চমার্গের চিন্তা করিতে হইলে, এই কথা বিশেষভাবে অনুধাবন করা আবশ্যক। বৈজ্ঞানিক মত হইল - মস্তিষ্ক দিয়া চিন্তা করিও না, স্নায়ু দিয়া চিন্তা করিও - Think not through the brain, but through the nerves, অথবা, তােমার ভাবসমূহকে স্নায়ুপুঞ্জে আনয়ন কর - Bring down the ideas to your nerves - যাহাকে চলিত কথায় বলে - ভাবতে পরিপূর্ণ হইয়া যাও। মস্তিষ্ক দিয়া চিন্তা করিলে, তাহাতে শরীর ও অন্যান্য অঙ্গাদি নিস্তেজ হইয়া পড়ে এবং দ্বিধা, সন্দেহ ইত্যাদি অনেকপ্রকার ভাব বা প্রতিবন্ধ আসিয়া থাকে ; কারণ, স্কুল-স্নায়ু দিয়া যে শক্তি সঞ্চারিত হয়, অধিকাংশ সময় বিপরীত দিকে তাহার গতি হইয়া থাকে, একস্রোতমুখী বা কেন্দ্রাভিমুখী গতি তাহার হয় না। এই বিষয়টা সাধকের বা দার্শনিকের বিশেষ করিয়া জানা আবশ্যক।