পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- ১৫৮ অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান কোলাহল-রহিত ও জমানব-শূন্য স্থানে আশ্রয় লাভের জন্য গমন করেন। এইরূপে, দুঃস্থ মনিবের প্রতি মহতী ভালবাসায় অনুপ্রাণিত হইয়া, তিনি মনুষ্য সমাজ পর্য্যন্ত ত্যাগ করিয়া থাকেন। মনের গভীর অবসাদ ও সুতীব্র যাতনা হইতে অব্যাহতি পাইবার একমাত্র উপযুক্ত আশ্রয় হিসাবে - তিনি বন্য জন্তু-জানােয়ার, পাহাড়-পর্বত ও বন-উপত্যকার সাহচর্য্যলাভের প্রয়াস পাইয়া থাকেন। বাহ্যিকভাবে বস্তুতঃই তিনি কাণ্ডজ্ঞানশূন্য, উন্মাদ এবং মুদ্রাগ্রস্তের ন্যায় প্রতীয়মান হইয়া থাকেন। মনুষ্য সমাজের ভিতর তিনি বাস করিতে চাহেন না, সমাজও তাহাকে উদ্ভ্রান্তচিত্ত বলিয়া পরিহার করিয়া চলে। | কিরূপে মানবদিগকে উদ্বুদ্ধ ও উন্নত করা যাইবে, কি উপায়ে তাহাদের দুঃখ বিমােচন হইবে এবং নিজ চিন্তাপ্রণালীকেই বা কি ভাবে কার্যে রূপান্তরিত করা যাইতে পারে — ইত্যাদি জীবনের জটিল প্রশ্নসমূহ চিন্তা ও ধ্যান-ধারণা করিতে করিতে, একাকী অসহায় অবস্থায়, এক নির্জন জনমানবপরিত্যক্ত স্থানে বহুবৎসর তিনি অতিবাহিত করিয়া থাকেন। এইরূপে, বহুবৎসর চিন্তা ও ধ্যানমগ্ন থাকিয়া, তিনি পথ ও পাথেয়র সন্ধান আবিষ্কার করেন - দীপবর্তিকা সহসা জ্বলিয়া উঠে — পথ আলােকিত হইয়া পড়ে, সকলই সুস্পষ্ট হইয়া উঠে। কি প্রকারে জনমানবগণের উপকার ও উৎকর্ষ সাধন করা যাইতে পারে - এই সকল সমস্যা সমাধান করিয়া