পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান । ৪৩ বুদ্ধদেব যেমন ভগবান লাভের ও জগতের কল্যাণের জন্য রাজত্ব, স্ত্রী ও নবপ্রসূত পুত্রকে ত্যাগ করিয়া কঠোর তপস্যা করিতে গৃহত্যাগী হইয়াছিলেন—যুবা রাখালের বিষয় চিন্তা করিলেও সেই চিত্রই অনেক পরিমাণে দেখিতে পাওয়া যায়। সন্তান-সেহ ভিতরকার টান, তাহা বিস্মৃত হওয়া বড়ই কঠিন এবং স্ত্রীর রক্ষণাবেক্ষণের ভাবও অন্তরে থাকে, কিন্তু রাখাল কখনও এই সকল কথা মুখে আনিত না। একেবারে বিপাের, তন্ময় ও | নিশ্চল হইয়া ছােট ঘরটাতে কখনও বসিয়া, কখনও বা শুইয়া হাতে মাথা রাখিয়া অনবরত জপ করিত। তাহার নিকট কি দিন, কি রাত্রি—সবই সমান হইয়াছিল। যাহারা এ বিষয় চিন্তা করিবেন তাঁহারা বুঝিতে পারিবেন যে, যুবা রাখালের ভিতর ভগবান লাভের জন্য কি তীব্র বৈরাগ্য ও কি ত্যাগ দেখা গিয়াছিল । গিরিশচন্দ্র লিখিয়াছেন “ঘূর্ণমান মস্তিষ্ক আমার, বুঝি তনু হবে ক্ষয় ! সতাত না হ’ল সঞ্চয় হইল মানবের দুঃখ-বিমােচন! যদবধি দেহে আছে প্রাণকরি সত্যের সন্ধান। ফোটে ফুল সৗরভ হৃদয়ে ধরিসৌরভ বিতরি আপনি শুকায়ে যায় । মৃত্যু-ভয় আছে কি কুসুমে?