পাতা:অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান - মহেন্দ্রনাথ দত্ত.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- অজাতশত্রু শ্রীমৎ স্বামী ব্রহ্মানন্দ মহারাজের অনুধ্যান ৬৫ চলিয়া যায়। সেখানে সে কিছুদিন ছিল এবং তাহার স্বভাবসিদ্ধ ভাবে জপ করিয়াছিল। যুবা রাখালের প্রথা ছিল, চোখ চাহিয়া জপ-ধ্যান করা। চোখ বুজিয়া জপ-ধ্যান করা সে পছন্দ করিত না; কারণ, চোখ বুজিয়া জপ-ধ্যান করিলে, যদি বাহির হইতে কোন প্রতিবন্ধ আসে, তাহা হইলে জপধ্যান বন্ধ হইতে পারে এবং এইরূপে জপ-ধ্যান করা অনেকটা লােক-দেখানও হইয়া পড়ে। চোখ চাহিয়া জপ-ধ্যান করিলে যদিও প্রথম অবস্থায় অনেক অসুবিধা হয়, কিন্তু বিঘ্নের সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম। যুব রাখাল এই সময় অনেকবার বৃন্দাবন গিয়াছিল। কাশী অপেক্ষা তাহার বৃন্দাবন ভাল লাগত। এইজন্য, সে মাঝে মাঝে বৃন্দাবনে যাইয়া বলরাম বাবুর কুঞ্জে থাকিত, আবার কয়েক মাস পরে কলিকাতায় ফিরিয়া আসিত। কতবার বৃন্দাবন গিয়াছিল এখন সে বিষয় বিশেষ স্মরণ নাই; তবে স্মরণ আছে যে, শেষবার বৃন্দাবনে গিয়া অনেকদিন বাস করিয়াছিল এবং ব্রজমণ্ডলের সকল স্থানে গিয়া কঠোর তপস্যা করিয়াছিল। কখনও কখনও সে এই সকল কথা গল্পচ্ছলে বলিত, তাহা হইতেই যাহা সামান্য কিছু জানিতে পারিয়াছি মাত্র। কারণ, সে নিজের তপস্যার কথা বা নিজের সম্বন্ধে কোন কথা বলি না। এসব বিষয় সে অতিশয় চাপা ছিল। রাখালের বৃন্দাবন পর্যটনের কথা স্মরণ হইলে, এই ভাবটী মনের মধ্যে জাগিয়া উঠে