পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o যাহা বলিয়াছি, রঘুবংশোৎপন্ন হইয়া তাহা অসত্য করিব কিরূপে ?” রামের এই কথা শ্রবণ করিয়া ভরত বলিলেন;–“হে সুত্রত । তবে আমিই জাপ নার প্রতিনিধি হইয়া আপনারই স্থায় চৗরবসন পরিপানপূর্ব্বক চতুর্দশ বৎসর বনবাস করিব ; আপনি যথাসুখে রাজ্য করুন” । রাম বলিলেন ;– “পিত, তোমাকেই এই রাজ্য দিয়াছেন এবং আমাকে বন দিয়াছেন ; যদি আমি তাহার বৈপরীতা করি, তাহা হইলে ইহাতেও পূর্ব্ববৎ সত্যচ্যুতি দোষ রহিয়া গেল” । ভরত বলিলেন,—“তবে আমিও বনে আসিল ; লক্ষ্মণের স্তায় আমিও আপনার অধ্যাত্ম-রামায়ণ । ভরত সেই রত্নভূষিত দিব্য পাদুকাযুগল, অতিভক্তি ভাবে গ্রহণ করিয়া পুনর্ব্বার রামকে প্রদক্ষিণ করিলেন ও বার বার প্রণাম করিতে লাগিলেন। ভরত পুনরায় গদগদ স্বরে বলিতে লাগিলেন ; "রাম! চতুর্দশবৎসর শেষে পঞ্চদশবৎসরের প্রারম্ভ দিবসে যদি আপনি আগমন না করেন, তাহা হইলে কিন্তু মহানলে প্রবেশ করিব” রাম “আচ্ছ; বলিয়া তাহাকে বিদায় দিলেন। তখন সুবুদ্ধি ভরত,-মাতৃগণ, বসিষ্ঠ, শক্রয় ও সৈন্য সামন্ত সমভিব্যাহারে প্রতিনিবৃত্ত হইতে উপক্রম করিলেন। তখন কৈকেয়ী, নয়ন জলধারাভিষিক্ত হইতে সেবা করিব” । “নতুবা প্রয়োপবেশন করিয়া এই : হইতে কৃতাঞ্জলিপুটে রামকে নির্জনে বললেন, দেহত্যাগ করি" মনে মনে এইরূপ নিশ্চয় করিয়া “আমি দুষ্ট বুদ্ধি; তোমার মাত্রায় মোহিত চিত্ত এবং ঐ নিশ্চিত কথা প্রকাশ করিয়া রৌদ্রে কুশদল . হইয়া তোমার রাজ্য-বিঘ্ন করিয়াছি, আমার দৌরাত্ম্য বিছাইলেন ও পূর্ব্বমুখ হইয় তাহাতে উপবেশন করিলেন । ভরতের আগ্রহাতিশয় দেখিয়া রাম অতিশয় বিন্মিত হইলেল। তখন রঘুনন্দন, কটাক্ষ দ্বারা গুরুকে ইঙ্গিত করিলেন । অনস্তর জ্ঞানিশ্রেষ্ঠ বসিষ্ঠ নির্জনে ভরতকে বলিলেন;– বংস ! আমার বাক্যে সুনিশ্চিত গোপনীয় তত্ত্ব শ্রবণ কুর ; রাম সাক্ষাৎ নারায়ণ, পূর্ব্বে রাবণ বধের জন্য ব্রহ্মা প্রার্থনা করাতে দশরথ তনয়রূপে অবতীর্ণ হইয়াছেন। যোগমায়াও সীত৷ নামে জনকতনয়া হইয়া উৎপন্ন হইয়াছেন। আর অনন্তদেব ও লক্ষণরূপে আবির্ভূত হইয়া সর্ব্বদ রামের অনুগামী আছেন। অতএব রাবণ বধ करिउ हेछूक श्देश हेर्हाज्ञ उिन छैन बत्न गाहेবেনই; সংশয় নাই কৈকেয়ী, বর প্রার্থন প্রভৃতি যে যে নিষ্ঠুর বাক্য বলিয়াছেন তৎসমস্তই দেবকৃত ; নতুবা এরূপ বলা কি তাহার পক্ষে সন্তবে ? অতএব বাবা । রামকে প্রতি নিবৃত্ত করিবার আগ্রহ পরিত্যাগ কর; সৈন্যগণের সহিত প্রতিনিবৃত্ত হইয়া চল ; শ্রীরাম শীঘ্রই রাবণকে সবংশে ধ্বংস করিয়া ভ্রাতা ও ভ্রাতৃতুল পয় বন্ধুর সহিত নগরে প্রত্যাগত হইবেন" । গুরুর এই কথা শুনিয়া ভরত বিন্মিত হইলেন ; এবং বিস্ময়-বিক্ষরিত নয়নে রাম সমীপে গমন করিয়া বলিলেন;–“হে রাজেন্দ্র। রাজ্য পালন সামর্থ্য লাভের জন্য জগৎ পূজিত ভবদীয় পাদুকা-যুগল আমাকে দান করুন, আপনার আগমন যাবৎ, তাহার সেবা করিব। এই বলিয়া এক ষোড় দিব্য পাণ্ডুকী—ঐরামের পদদ্বয়ে পরাইয়া দিলেন। রাম, ভরতকে তাহ দান করিলেন । ।

| f § | | | | | y মার্জনা কর, ক্ষমাই সাধুগণের সার বস্তু। তুমি সাক্ষাৎ পরমাত্মা সনাতন অব্যক্ত বিষ্ণু ; মায়ামনুষ্য-রূপে তুমি অখিল জগৎ মোহিত করিতেছ। তোমার দ্বারা প্রবর্ত্তিত হইয়াই লোকে ভাল মন্দ কাজ করে। এই জগৎ তোমার অধীন ; নতুব। স্বভাবতঃ অস্বাধীন এই জগং কি করিতে পারে ? যেমন বাজিকরের ইচ্ছায় গুপ্ত-স্বত্র পরিচালনায় মর্ত্তকী-পুত্তলী নাচিতে থাকে, সেইরূপ বিচিত্র রূপধারিণী মায়া তোমার অধীন হইয়াই নাচিতেছে । হে রিপু-দমন! তুমিই দেবকার্য্য করিবার জন্য আমাকে প্রবৃত্তি দিয়াছিলে বলিয়া আমি পাপমনে পাপ কর্ম্ম করিয়াছি। তুমি দেবগণেরও অগোচর ; কিন্তু আজ আমি তোমাকে চিনিতে পারিয়াছি । হে বিশ্বেশ্বর। হে অনন্ত! হে জগন্নাথ! আমাকে পরিত্রাণ কর ; তোমাকে নমস্কার, তোমার স্বরূপজ্ঞান-রূপ-শাণিত-খড়গদ্বারা ধন পুত্রাদি স্থিত মদীয় স্নেহময় পাশ ছেদন কর; আমি তোমার শরণাগত হইলাম।” কৈকেয়ীর কথা শুনিয়া রাম ঈষৎ হাস্ত করত বলিলেন;–“হে মহাভাগে ! তুমি যাহা বলিলে ; তাহা মিথ্যা নহে, সত্যই। দেবকার্য্য সিদ্ধির জন্য আমার প্রবর্তিত কথাই তোমার মুখ দিয়া নির্গত হইয়াছে; ইহাতে তোমার দোষ কি ? যাও তুমি, প্রতিদিন, নিরস্তর, আমাকে মনে মনে ভাবনা কর গিয়া, আমার প্রতি গাঢ়-ভক্তি-বশতঃ সর্ব্বত্র স্নেহশূন্ত হইয়া অচিরে মুক্তি লাভ করবে। আমি সর্ব্বত্র সমদৰ্শী;মেন মায়াবি-ব্যক্তির, নিজ মায়াকৃত বস্তুতে দ্বেষ বা প্রতি থাকে না, সেইরূপ আমার কেই দ্বেষ্য বা প্রিয় নাই, যে আমাকে ভজন