পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাণ্ড । So & ভ্রাতার জন্য সেই দুষ্কর কার্য সম্পাদন কর। করেন, তাহারাই সংসার ভোগ-স্বরূপ মহানাগ পাশ রাবণ রাজার সেই পরিদেবন-বাক্য শ্রবণ করিয়া ৷ হইতে মুক্ত হইয়া অনন্ত মুখসম্পন্ন সীতাপতি? কুস্তকর্ণ উচ্চহাস্ত করিল এবং এই কথা বলিল ;– "হে রাজন। আমি মন্ত্রণাসময়ে তোমাকে যাহার অবগুসস্তাবিত্ব বলিয়াছিলাম—সেই পাপকার্ঘ্যের ফল আজ তোমার কলিয়াছে। পূর্কোই আমি বলিয়ছিলাম—রামচন্দ্র পরম পুরুষ নারায়ণ ; এবং সীতা যোগমায়া ; তুমি ত ইহা বুঝাইলেও বুঝিবে না | তামি একদা হেমন্ত রজনীতে * বনমধ্যে পর্ব্বতের সামুদেশে আসীন ছিলাম ; তথায় দিব্য, দর্শন সাক্ষাৎ নারদ মুনিকে দর্শন করি। তাহাকে প্রলিলাম ;–“হে মহাভাগ! আমাকে বলুন, আপনি কোথা হইতে অসিতেছেন।"এই কথা বলিলে নারদ বলিলেন ;- “আমি দেবতাগণের মন্ত্রণাস্থানে ছিলাম। তথা হইতে আসিতেছি । সেখানকার বিবরণ তোমার নিকট যথার্থরূপে বলিতেছি ;–শ্রবণ করতোমাদিগের দুই ভ্রাতা দ্বারা পাড়িত—হইয়া সকল দেবগণ বিষ্ণুর নিকট উপস্থিত হন; র্তাহার একাগ্র. চিত্ত্বে ভক্তিসহকারে দেবদেবের স্তব করিয়া বলেন, দেব ! ত্রৈলোক্য-কণ্টক অজেয় রাবণকে বধ করুন । ব্রহ্মা পূর্ব্বেই তাহার মনুষ্য হস্তে মৃত্যুবিধান করিয়া দিয়াছেন ; অতএব আপনি মনুষ্যরূপে অবতীর্ণ হইয় কণ্টক স্বরূপ রাবণকে বধ করুন। সত্যসঙ্কল্প ঈশ্বর মহাবিষ্ণু “তথাস্তু" বলিলেন । এবং সেই দেব রঘু কুলে উৎপন্ন হইয়া রাম নামে বিখ্যাত হইয়াছেন। তিনি তোমাদিগের সকলকে বধ করি বেন ; এই বলিয়া মুনি গমন করিলেন । অতএব তুমি রামকে সনাতন পরব্রহ্ম বলিয়া জানিবে । বৈরিভাব পরিত্যাগ কর ; যায়াবলে মনুষ্যরূপে অবতীর্ণ ঐরামকে এখন ভজন কর ; “যে ভক্তিভাবে ভজন করে, রঘুবর তাহার প্রতি প্রসন্ন হন । ভক্তি— জ্ঞানের হেতু ; ভক্তি—মুক্তিদায়িনী ; ভক্তিহীন হইয় যে কিছু সৎকার্য্য করা যায়, তৎসমস্ত না পক্ষ প্রাপ্ত হন । সপ্তম অধ্যায় সমাপ্ত । অষ্ট্রম অধ্যায়। । দশগ্রীব, কুম্ভকর্ণের বাক্য শ্রবণ করিব মাত্র ক্রোধে যেন আসন হইতে লাফাইয়া উঠিল ; বদনমগুলে বিকট ভূকুট দেখা দিল ; রাবণ এই কথা বলিল ;–“জানি হে তুমি বড় বুদ্ধিমান। কিন্তু জ্ঞান উপদেশ লইবার জন্য আমি তোমাকে আনয়ন করি নাই ; আমি যাহা করিয়াছি, তাহ সহ্য করিয় যদি রুচি হয় তযুদ্ধ কর গিয়া। নতুবা কুযুপ্তির জন্ম গমন কর ; ( বুঝিতেছি ) এক্ষণে তুমি নিদ্রায় কাতর হইতেছ "। মহাবল কুম্ভকর্ণ রাবণের বাক্য শ্রবণ করিয় “ইনি রুষ্ট হইয়াছেন" বুঝিয়। সত্বর যুদ্ধ করিতে নির্গত হইল। সেই মহাপর্বতাকার কুত্ব কর্ণ প্রাকার অতিক্রমপুর্ব্বক বানর সৈন্যদিগকে বিত্রাসিত করত নগর হইতে সত্বর বহির্গত হইল । সেই রাক্ষস জলনিধি প্রতিধ্বনিত করিয়া মহা, শব্দ করিতে লাগিল ; ক্রোধাভরে দুইহস্তে বানৰ, গণকে ভোজন করত তাড়না করিতে লাগিল । তখন যেমন নিখিল প্রাণিগণ, কাল অথবা অস্তককে অৱলোকন করিলে পলায়ন করে, সেইরূপ পক্ষ সম্পন্ন পর্বতের ন্যায় সেই কুম্ভকর্ণকে অবলোকন করিয়া বানরসকল পলায়ন করিতে লাগিল । মহাবল কুম্ভকর্ণ-বানর-বাহিনী মধ্যে ভ্রমণ করত বানরদিগকে সবেগে মুদগর প্রহার করিতেছে, চতু দিক হইতে বানরদিগকে ভোজন করিড়েছে, মুদগরাঘাত ও কর চরণ প্রহার প্রভৃতি নানা উপায়ে তাহাদিগকে চূর্ণ করিতেছে, দেখিয়া গদাপাণি বুদ্ধিমান বিভীষণ সেই জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার চরণযুগলে করার তুল্য। লীলানুকারী বিষ্ণুর বহুতর অবতার ; প্রণাম করিল ;–এবং বলিল ভ্রাতঃ ! আমি বিভীষণ জ্ঞানময় মঙ্গলময় রামাবতার—তথাবিধ সহস্র | হে মহামাতে । আমার প্রতি দম্ন করুন; ভ্রাতঃ ! অবতার সদৃশ। নিপুণ ব্যক্তিগণই বাক্য ও মন | রামকে সীতা প্রদান কর, রাম সাক্ষাং নারায়ণ" দ্বার: সর্ব্বদা রামকে ভজনা করেন। র্তাহার অন. ইত্যাদি নানা প্রকার উপদেশ জামি রাবণকে দিয়স্বাসে সংসার পার হইয়া হরিপদ প্রাপ্ত হন। ভূম ছিলাম, কিন্তু দুর্ম্মন্ত্রিগণে পরিবৃত থাকায় তিনি তাহ ওলে যে সকল বিশুদ্ধবুদ্ধি সাধুগণ, সর্ব্বদা রাম ! শুনেন নাই; প্রত্যুত খড়গ উদ্যত করিয়া জামাকে চন্দ্রকেই ধ্যান করেন এবং তাহার চরিত্র পাঠ পদাঘাত করিয়া বলেন তোকে ধিকৃ! তুই গমন

  • "বিশাল রজনী” শব্দের অর্থ-“হেমন্ত রজনী” । টীকাকার বলেন “বিশাল” অর্ধে-“বিশাল শিলা “বুদ্ধিতে ইষ্টৰে অর্থাৎ “বিশাল শিলার উপর" |

কর । তাহার পর আমি চারজন মন্ত্রীর সহিত রামের শরণাগত হইয়াছি” কুম্ভকর্ণ তাহা শুনিস্থ ভ্রাত বিভীষণ জাসিয়াছে বুঝিলেন, অনন্তর তাহাকে