পাতা:অধ্যাত্ম-রামায়ণম্‌ - পঞ্চানন তর্করত্ন.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>bー যেমন মুম্বুপ্তি অবস্থায় অহঙ্কার-অভাবে সংসার প্রতীতি হয় না ; সেইরূপ জীবন্মুক্ত পুরুষ অহঙ্কারপৃক্ত হয় বলিয়া তাহারও সংসার-জ্ঞান থাকে না। অতএব মায়া-পরিণাম মনের ধর্শ্ব অহং মমতা “আমি” “আমার” এই জ্ঞান ) পবিত্যাগ কর ; ফায়া মনুষ্য সর্ব্বভূতের অন্তৰ্বামী পরমাত্মা পরমেশ্বর ভগবান রামভদ্রে মন নিবিষ্ট কর । বহিরিক্রিয় ও বিষয় সম্বন্ধে দোষ দেখাইয় তাহা হইতে মনকে নিবৃত্ত কর ; করিয়া আনন্দময় শ্রীরামে নিযোজিত কর। দেহে আত্মবুদ্ধি করিলেই কেহ ভ্রাতা, কেহ পিতা, কেহু মাতা, কেহ মুহাং এবং (কেহ প্রিয়জন ইয়া থাকে; কিন্তু যখন আত্মাকে দেহ হইতে বিভিন্ন বলিয়া বুঝে, তখন কে কাহার বন্ধু ? কে কাহার ভ্রাতা ? কে কাহার মাতা ? কে কাহার পিতা ? এবং কেই বা কাহার তুঙ্গং ? গৃহিণী ; গৃহ ; শব্দাদি বিষয়; বিবিধসম্পত্তি ; সৈক্ল সামান্ত; ধনাগার; ভূত্য সর্গ; রাজ্য; ভূমি এবং পুত্র প্রভৃষ্টি--সমস্তই সর্ব্বদ মিথ্যাজ্ঞানবশতঃ হইয়া থাকে । অজ্ঞানমূলক বলিয়া এতৎসমুদায় ক্ষণভঙ্গুর। উঠ ; ভক্তি সহকারে শ্রীরামকে মনে মনে চিন্তা ও রাজ্যাদি ভোগকরত প্রতিনিয়ত প্রারন্ধের অন্তবর্তী হইয়া চল। ভূত ভবিব্যং বিচার না করিয়া উপস্থিত বিষয় স্যায়-মত আচরণ করত বিহার কর তাহা হইলে আর সংসারদোষে লিপ্ত হইবে না। রাম, তোমাকে অনুমতি করিতেছেন ; ভ্রাতার প্রেত কার্য্য যথা শাস্ত সম্পা গন কর ; হে মহামহে ! রোরুদ্যমান রমণীগণকে নিবারণ কর; ইহঁর অবিলম্বে লঙ্কামধ্যে গমন করুন”। বিভীষণ, লক্ষ্মণের যথোক্ত বাক্য শ্রবণ করিয়া, শোক মোহ পরিত্যাগপূর্বক রাম-পাশ্বে উপস্থিত হইল। ধর্ম্মজ্ঞ বিভীষণ, মনে মনে সেই ধর্ম্মার্থ সম্পন্ন বাক্যের তাৎপর্য্য বিচার করিয়া রামের অনুবৃত্তির জন্যই এই উত্তর করিল ;–“হে প্রভু! হে দেব ! নৃশংস, মিথ্যাবাদী, ক্রুন, ধর্ম্ম-ভ্রষ্ট, ব্রত হীন এবং পর দারগামী এই রাক্ষসের সৎকার করিতে আমি পরিব না।" রাম তাহার বাক্য শ্রবণপূর্বক প্রীত হইয় এই কথা বলিলেন –“মরণ পর্য্যন্তই শত্রুতা; জমাদিগের প্রয়োজন সম্পন্ন হইয়াছে ; (আর. रकन ?) हैशंद्र म९ढ़ाब कज़ ; ७ई ब्रांवल ८ऊांभांज़ অক্ষে যেমন আমার পক্ষেও তষ্কপ * ধর্ব্বাত্মা বিভীষণ রামের অনুমতি মস্তকে লইয়া তখন অবিলম্বেই বুদ্ধিমতী রাষ্ট্ৰী মন্দোদরীকে নানাবিধ শোক-নাশক বচনে সাম্ভুনা করিল। পরে ধর্ম্মবুদ্ধি ধর্ম্মজ্ঞ বিভীষণ, ভ্রাতৃসৎকারের জন্ত স্বীয় অধ্যাত্ম-রামায়ণ । বান্ধবগণকে ত্বরান্বিত করিল। বন্ধু ও মন্ত্রিগণের সহিত বিভীষণ, পিতৃ-মেধ বিধি অনুসারে মৃতদেহ চিতায় আরোপিত করিয়া অগ্নিহোত্রী ব্রাহ্মণের ষেরূপ কর্ত্তব্য, রাবণের তৎসমস্তই করিয়াছিল। বিভীষণ, তাহার যথাবিধি অগ্নিকার্য্য করিল। অনস্তর, স্নানাস্তে আদ্রবন্থে কুশাদি-স্পষ্ট সতিল জল বিধিপূর্ব্বক প্রদান এবং তাহার উদ্দেশে শুদ্ধ জল স্থাপন করিয়া মস্তক নত করিয়া ইহাকে ( রাবণকে ) প্রণাম করিল। পরে বারবার সান্তুন বাক্য বলিয়া সেই সকল রমণীগণের শোকাপনোদন করিল ; তাহাদিগকে “নগরমধ্যে গমন করুন;" এই কথা বলিলে তখন সেই সকল রাক্ষসভার্য্যাগণ নগরে প্রবেশ করিল। রাক্ষস-পত্নীগণ সকলে নগর প্রবিষ্ট হইলে ; বিভীষণ তখন রামপাশ্বে আসিয়া বিনীত ভাবে দণ্ডায়মান হইল। ইন্দ্র যেমন বৃত্র বধ করিয়া আনন্দিত হইয়াছিলেন, সেইরূপ শত্রগণকে বধ করিয়া–সৈন্যগণ, সুগ্রীন এবং লক্ষণের সহিত শ্রীরামচন্দ্রও আনন্দ লাভ করিলেন । তখন মাতলি, রামকে প্রদক্ষিণ ও প্রণাম করিয়া রামের অনুমতি ক্রমে আকাশ পথে স্বর্গগমন করিলেন । অনন্তর রাম সৃষ্টচিত্ত হইয়া লক্ষ্মণকে এই বলিলেন ;– aআমি পূর্ব্বেই বিভীষণকে লঙ্গরাজ্য প্রদান করিয়াছি, আবার এখন তুমিও লঙ্কামধ্যে গমনপূর্ব্বক ব্রাহ্মণগণ দ্বারা যথাবিধি মন্ত্র পাঠ করাইয়া বিভী ষণের অভিষেক কার্য্য সম্পাদন কর।” এই কথা বলিলে লক্ষ্মণ, বানরগণ-সমভিব্যাহারে সত্বর লঙ্কানগরে গমন করিলেন ; গিয়া সমুদ্র জল পূর্ণ স্বর্ণকুন্তুসমূহ দ্বারা ধীমান রাক্ষসরাজের শুভ অভিষেক বিধি সম্পাদন করিলেন । অন. শুর সৌমিত্রিসমভিব্যাহারে বিভীষণ, পুরবাসী জনগণের সহিত আসিয়া অনায়াসকারী ঐরামকে দণ্ডবং প্রণাম করিল । পুরবাসীদিগের হস্তে নানাবিধ উপঢৌকন সামগ্রী ছিল; স্বয়ং বিভীষণও উপটৌকন দ্রব্য আগ্রে করিয়া আনিয়াছিল। সানুজ রামচন্দ্র,—বিভীষণ রাজ্য পাইয়াছে দেখিয়া আনন্দিত হইলেন এবং যেন আপনাকে চরিতার্থ বলিয়া বোধ করিলেন । অনস্তর রাম, সুগ্রীবকে আলিজন করিয়া বলিলেন;–“হে বীর । আমি তোমার সাহায্যে এই মহাবল রাবণকে জয় করিলাম এবং হে অনঘ! বিভীষণকেও লঙ্কাতে অভিষিক্ত করি. লাম।” অনন্তর বিনীতভাবে পার্শ্বে অবস্থিত হনুমান্বকে বলিলেন;–“তুমি বিভীষণের অনুমতিক্রমে রাবণভবনে গমন কর; রাবণ-বধ প্রভৃতি সকল