পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>>S অধ্যাপক কানাই হতাশ স্বরে বল্লে—“কিন্তু এই যে আমার প্রকৃতি । তোমাকে কেন্দ্র করে’, তোমার আকর্ষণে আমার গতি হবে উন্মুক্ত, অনন্ত এবং অসীম, সে ঋতুতে ঋতুতে বিকশিত করবে আমাকে নব নব কুসুমের বিকাশে, আমার চিত্তের নবতর ও কল্যাণতরের ব্যাপ্তিতে । শুধু ধনের দ্বারা যে মুখ হয় সেই মুখকেই একান্ত কাম্য বলে আমি মনে করতে পারি না । নীড়ের প্রতি যে ভালবাসা আছে সেই ভালবাসারই প্রভাবে পাখী ওড়ে মহাকাশের দিকে, চেয়ে দেখে একবার তাব বৃক্ষস্থ নীড়ের দিকে, আবাব সে ওড়ে উদ্ধ থেকে উদ্ধতর আকাশে ; বাতাস হয়ে আসে হাল্কা, তবু সে ডানার বলে নূতন ছন্দে ওড়ে আকাশে । এই স্বাভাবিক গতির দিকে ছুটেছে আমার সমস্ত চেতনা, তাকে ত আমি ধনের দ্বারে শৃঙ্খলিত করে’ রাখতে পারি না ।” মঞ্জরী একটু অসহিষ্ণু হয়ে বল্লে—“এ সমস্ত কাব্যময় কথার পুঞ্জে আমার কোনও তৃপ্তি নেই । আমি চাই বাস্তবকে, আমি চাই জীবনকে রসে আনন্দে ভোগ করতে । সেই ভোগের সঙ্গীরূপে, সেই ভোগের পাথেয় যোগাবার কর্ত্তাক্পে পারি আমি তোমাকে ভালবাসতে। নইলে, শুধু হা-হুতাশ দীর্ঘশ্বাসের ভালবাসার উপর আমার কোনও লোভ নেই। তুমি যদি স্পষ্টরূপে বুঝে থাক যে এ তোমার পক্ষে অসম্ভব, তবে বারংবার আমাদের মিলিত হওয়ার কোনও অর্থ হয় না। কথাটা তুমি ভেবে দেখ। আজ ত রাত হয়ে গেল, এখন তবে উঠতে হয় ।” এই কথা বলে মঞ্জরী উঠে দাড়াল । “আচ্ছা, দেখৃব” বলে’ কানাইও উঠে দাড়াল । তারপর চলল কানাই মঞ্জরীকে ট্রাম পর্য্যস্ত এগিয়ে দিতে । রাস্তায় তখন লোক চলাচল কমে এসেছিল । চারিদিক হয়ে এসেছিল নিস্তব্ধ । দু’টি দীর্ঘকালের বন্ধু পাশাপাশি