পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক S 86: অবনতিতে ছিল শ্রদ্ধা ও ভক্তি, সে নম্রতা ছিল হৃদয়ের সহজ অবনতি । সেখানে বল ও ধনের লাঞ্ছনা ছিল না । ইউরোপে বহু জ্ঞানী আছেন, বহু পণ্ডিত আছেন । র্তার জগদ্বরেণ্য, সকলের নমস্ত । কিন্তু ইউরোপ তাদের কি ভাবে ব্যবহার করছে ? তাদের ব্যবহার করছে ধন ও বল আহরণের জন্য । সেই সমস্ত মনস্বীর। যদি অকৃত্রিম বিদ্যাকুরাগে নিত্য নব আবিষ্কার না করতেন তবে ইউরোপ যেত ধ্বংস হয়ে এতদিন ।” প্রভা বল্লে—“ইউরোপের সর্বত্রই ত প্রায় আত্মপ্রকাশের প্রণালী ও : রীতি একই প্রকারের, তবে সেখানে কেন এত দ্বন্দ্ব ?” কানাই বল্লে—“রুচির অভাব । আমি পূর্ব্বেই আপনাদের বলেছি যে শুধু প্রকাশ করলেই চলে না, যা প্রকাশ করা হচ্ছে তা প্রকাশের যোগ্য কিনা ত দেখা দরকার ; আমারই বল হবে সকলের চেয়ে বেশী--এই অভিমানটি প্রকাশের যোগ্য নয়। এই অভিমান ক্ষুব্ধ করে আর একজনের অভিমান, তাই অভিমানে অভিমানে ঘটে দ্বন্দ্ব এবং সেই দ্বন্দ্বের ফলে হয় ধ্বংস । ১৯১৪ থেকে ১৯১৮র যুদ্ধের কথা আপনার শুনেছেন । কিন্তু এই যুদ্ধ বায়না দিয়ে গিয়েছে একটা মহাযুদ্ধের । সেই যুদ্ধ ঘটতেই হবে । শুধু একট। যুদ্ধ নয়, ঘটবে যুদ্ধের পরম্পরা, বয়ে যাবে ধ্বংসের পঙ্কিল অপবর্ত্ত । আজ ইউরোপের এই বলপ্রেরণ ও ধনপ্রেরণা আমাদের মধ্যেও প্রবেশ করেছে, আমাদের আত্মপ্রকাশের মঙ্গল বুদ্ধিকে ব্যাহত করেছে। শুধু যে পররাষ্ট্র আমাদের বাহ ভাবে শাসন করছে তা নয়, তারা উদগীরণ করছে তাদের সমস্ত বিষ আমাদের বায়ুপ্রবাহের মধ্যে । আমরা নিঃশ্বাসে প্রশ্বাসে গ্রহণ করছি সেই বিষ, বিষাক্ত করছি আমাদের ধমনীর রক্ত । আমাদের হৃদয়ের স্পন্ন হয়ে আসছে লঘু হ’তে লঘুতর, আমাদের আত্মবিশ্বাস ఈ