পাতা:অধ্যাপক - সুরেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত.pdf/১৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অধ্যাপক ›õዓ সুকুমার পডল ফ্যাসাদে । কিছুক্ষণ রাস্তার কোণে অপেক্ষ করে’ সে বুঝতে পারলে যে প্রিন্সিপালের কোন বিশেষ আদেশে আজ কাউকেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বা ভিতরের কাউকেও বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না । কিন্তু পথের এ কোণে সে কোণে সে মেয়েদের জটলা দেখতে পেলে । সঙ্কোচের সঙ্গে ধীরে ধীরে একটি দলের সম্মুখীন হয়ে সে জিজ্ঞাসা করল—”এই হোষ্টেলে স্বজাত দেবী কোথায় আছেন বলতে পারেন ?” - তারা বল্লে—“প্রিন্সিপালট সুজাতা-দি’কে হোষ্টেল থেকে চলে’ যেতে বলেছে । র্তাকে আমরা অন্য এক জায়গায় নিযে গেছি । আপনার তার সঙ্গে কি দরকার ?” সুকুমার বল্লে—“আমি তার দাদা হই, তার সঙ্গে একটু দেখা করতে চাই ।” একটি মেয়ে বল্লে—“এই ত কাছেই তাব বাড়ী । আসুন, আপনাকে সেখানে নিয়ে যাচ্ছি ।" সুকুমার ড্রাইভারকে পিছনে আসতে ইঙ্গিত করে ধীরে ধীরে মেয়েটির সঙ্গে রওনা দিলে। কাছেই একটা দ্বিতল বাড়ী। সুকুমারকে নীচে রেখে মেয়েটি গিয়ে উপরে প্লবর দিলে যে স্বকুমার বাবু বলে একজন ভদ্রলোক দেখা করতে চান । সুজাতা যেন হাতে স্বৰ্গ পেল । মনের উত্তেজনায় কয়েকদিন কাটিয়ে সুজাতা একদিন দেখতে পেল আনন্দবাজার পত্রিকায় মৈমনসিংহে কানাইলাল সেনের ওজস্বী অভিভাষণ । অভিভাষণের মর্ম্মের সঙ্গে আরও অনেক মন্তব্য দেওয়া ছিল । সম্পাদকীয় মন্তব্য থেকে সে জানতে পারলে যে কানাইবাবু যে কেবলমাত্র দেশের লোককে সচেতন হবার জন্য এবং ইউরোপীয়